বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম খান

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অর্জন কোনভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে বাড্ডা থানা বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ১৯টি পরিবার এবং আহতদের ৪০টি পরিবারের কাছে সহযোগিতার আর্থিক উপহার তুলে দেন নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ কাইয়ূম। এসময় নেতৃবৃন্দ আন্দোলনে আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং ভবিষতেও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টাদের সততার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করল বিএনপি
নজরুল ইসলাম বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় চিন্তা করেন। তার নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আহতদের জন্য ডাটাবেজ করা হয়েছে। সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজে যুক্ত করা হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে নিহত, আহতদের পরিবারের কাছে যাওয়া হচ্ছে। তাদেরকে দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। প্রতিদিনই দলের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনে আহত ও নিহতদের জন্য সরকার কিছু আর্থিক অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকেও পরিবারদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অর্থের পরিমাণ দিয়ে তাদের ত্যাগের মুল্য দেয়া যাবে না। এই পরিরর্তিত দেশের জন্য তাদের মর্যাদা অতুলনীয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ মানুষও ভালো কিছু প্রত্যাশা করে: তারেক রহমান
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরে নজরুল বলেন, সেদিন আমি কারাগারে। যখন খবর এলো স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। তখন কারাগারে আনন্দের মিছিল শুরু হলো। কে কোন মামলার আসামি তার কোনো ঠিক নেই। সবার স্লোগানে-স্লোগানে প্রকম্পিত হলো কারাগার। সবার চোখে মুখে নতুন স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস ফুটে ওঠে। সেদিন যদি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান না হত তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেতেন না। আমিও কারাগার থেকে মুক্তি পেতাম না। এম এ কাইয়ুম ও নির্বাসিত জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে আজ আমাদের মাঝে ফিরে আসত না। তাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নিহত আহত পরিবারের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
বাড্ডা থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল, সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক আতাউর রহমান, নগর নেতা তুহিরুল তুহিন, জাহাঙ্গীর মোল্লা, মাহফুজ চেয়ারম্যান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাজ্বী হারুন অর রশিদ প্রমুখ।