তারেক রহমানের সাধারণ জীবনযাপন: শহীদ জিয়ার আদর্শিক উত্তরসূরি

Sadek Ali
সাখাওয়াত হোসেন খন্দকার
প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ন, ০২ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৬:৩৬ অপরাহ্ন, ০৯ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন নেতৃত্ব মানেই যেন বিলাসিতা, প্রটোকল ও ক্ষমতার প্রদর্শনী ঠিক তখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রমী জীবনযাপনে, দৃষ্টান্তস্বরুপ। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান কোনো ভিআইপি সুবিধা গ্রহণ না করে সাধারণ মানুষের মতো লোকাল বাসে চলাচল করছেন। এই জীবনচর্চা নিছক কোনো লোকদেখানো ব্যাপার নয়, এটি তার আদর্শিক উত্তরসূরি জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শেরই প্রতিফলন বটে। অন্তরের প্রজ্ঞা, দায়বদ্ধতা ও জনগণের সঙ্গে আত্মিক সংযোগের এই দৃষ্টান্ত উত্তরাধিকার সূত্রেই প্রবাহিত হচ্ছে তার জীবনযাপনে ।

১৯৭৫-এর রাজনৈতিক বিপর্যয়ের পর যখন দেশ অস্থিরতায় দুলছিল, তখন দোদুল্যমান দেশের হাল ধরে  শহীদ জিয়া শুধু দেশকেই সুগঠিত করেননি, বরং নিজেও একজন অসামান্য সংযমী, নীতিবান রাষ্ট্রনায়কের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল অত্যন্ত সরল, আত্মনিয়ন্ত্রণে ভরা। তিনি অফিসিয়াল রেস্তোরাঁয় কখনো অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করতেন না, বিলাসী জীবন থেকে হাজারো মাইল দূরে ছিলো তার অবস্থান, সরকারি গাড়ি ব্যবহারেও ছিলেন অত্যন্ত সতর্ক। এমনকি রাষ্ট্রপতি হয়েও নিজের পরিবারে মিতব্যয়িতা বজায় রাখতেন।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি স্লিপে স্বামীর জায়গায় নাম লিখায় তুষারের বিচার চাইলেন নীলা

তাঁর এই সাধারণ জীবনাচরণ আসলে ছিল দেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা এবং জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর পদক্ষেপ ছিল সোজাসাপ্টা, আত্মনির্ভরশীল এবং জবাবদিহিতামূলক। ফলে তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলেন খুব স্বল্প সময়ে।

আজ জনাব তারেক রহমান তাঁর পিতার সেই আদর্শিক ধারাকে সমানভাবে ধারণ করছেন। বর্তমান যুগের বিলাসী চাহিদামূলক প্রেক্ষাপটে তিনি ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা উপেক্ষা করে সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়েছেন। এটি কেবল তার ব্যক্তিগত জীবনচর্চা নয়—বরং এটি একটি রাজনৈতিক দর্শনের বহিঃপ্রকাশ, যেখানে ‘নেতৃত্ব’ মানে ক্ষমতার প্রদর্শন নয়, বরং জনগণের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার সৎ চেষ্টা।

আরও পড়ুন: জাপার চেয়ারম্যান হলেন আনিসুল, মহাসচিব রুহুল আমীন

যে মানুষ ভিড় ঠেলে বাসে চড়েন, লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটেন, জনসাধারণের কাতারে চলার চেষ্টা করেন, তিনিই বুঝতে পারেন সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের সংগ্রাম কেমন। এবং সেই জীবনচর্চা  তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য একটি মানবিক, সহানুভূতিশীল এবং বাস্তববাদী রাষ্ট্রনায়কে পরিণত করবে। 

এর আগে বিভিন্ন সময় স্বৈরশাসক দ্বারা  গুম, খুনের শিকার এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সময় “আমরা বিএনপি পরিবার” নামক মানবতাধর্মী সংগনের মাধ্যমে তারেক রহমান যখন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন তখন কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে তার মিতব্যয়ি আচরণ ফুটে উঠেছে । 

বাংলাদেশের আগামী দিনের জন্য একটি সৎ, দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। জনাব তারেক রহমানের এই সাধারণ জীবনচর্চা তাকে সেই দাবির মধ্যমণি করে তুলেছে ।