গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চান সম্পাদকরা: পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস বিএনপির

নতুন বাংলাদেশ গড়তে মিডিয়ায় সুষ্ঠু পরিবেশ জরুরি

Sanchoy Biswas
মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব
প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ন, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৬ অপরাহ্ন, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গণমাধ্যমের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছে বিএনপি। আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় দৈনিক, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ও প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ দলের পক্ষ থেকে এই সহযোগিতা চান।

তিনি বলেন, “যে অপশক্তির উত্থান সবাই এখানে আজকে বলেছেন, মতি ভাই (মতিউর রহমান) প্রকাশ্যে বলেছেন। সেই অপশক্তির উত্থানটা আমরা লক্ষ্য করেছি, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত। সেটার একটা স্বরূপ, চেহারা এবং কর্মকাণ্ড গত কয়েকদিন আমরা লক্ষ্য করেছি, প্রকাশিত হয়েছে।”

আরও পড়ুন: ধ্বংস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান

“সুতরাং জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে এবং জাতীয়ভাবে আমাদের সবাই এই বিষয়টাতে যাতে সচেতন হতে পারি, সে বিষয়ে আপনাদের সংবাদপত্র এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখন জাতীয় ঐক্য জাতীয় স্বার্থে ধরে রাখার জন্য আপনাদের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন, তা ছাড়া হবে না।”

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, গণমাধ্যমের কাছে গঠনমূলক সমালোচনা ও সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। পরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মওদুদ আলমগীর পাভেল বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন: আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দৃশ্যমান বিচার চায় জনগণ: রুহুল কবির রিজভী

রেডিসন ব্লু, ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বিএনপির উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গণমাধ্যমের সম্পাদক ও নির্বাহী প্রধানদের সঙ্গে এই মতবিনিময় হয়। সভার পর মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়ন করা হয় গণমাধ্যমের সম্পাদক-সাংবাদিকদের।

যায় যায় দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান বলেন, “সাংবাদিকদের দায়িত্ব সমালোচনা করা—ঠিক আছে, কিন্তু প্রশংসা করাও তাদের দায়িত্ব, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আমি যখন আবার ফিরে পেলাম যায় যায় দিন, আমি সম্পাদক বিভাগকে বলেছি—তোমরা খেয়াল রাখবে, কোনো ছোটখাটো প্রশংসার কাজও হলে ব্যক্তিগতভাবে বা সরকারিভাবে ওই কথাটা সম্পাদকীয়তে লিখবে। খালি সমালোচনা করো না।”

“সাংবাদিকদের দায়িত্ব কিন্তু প্রশংসা এবং সমালোচনা—দুটোই করা উচিত। আপনাদের অনুরোধ করছি, সাংবাদিক হয়ে যাওয়া মানে ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে যাওয়া সরকারের সমালোচনা করা, ইউনূস সাহেবের সমালোচনা করা—এটা কিন্তু নয়। আমি কিন্তু সরকারকে টেনেই বলছি।”

তিনি বলেন, “এখানে আমি মাহফুজ সাহেবের (মাহফুজ আনাম) একটা কথা বলতে চাই—উনি চলে গেছেন। আশা করি তাঁর সহযোগী মিস্টার মতিউর রহমান আমার কথাটা তাঁর কাছে পৌঁছে দেবেন। তিনি বলেছেন যে সাংবাদিক ভুল করতে পারে। ধন্যবাদ এই কথাটা বলার জন্য।”

“সরকারও ভুল করতে পারে, সাংবাদিকও ভুল করতে পারে। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে—এই ভুলটা স্বীকার করার সাহস থাকতে হবে। মতিউর রহমানকে জানিয়ে দিতে চাই, তিনি যেন মাহফুজকে বলেন—আমি তাঁকে অতি বিনয়ী আখ্যা দিচ্ছি। কেননা তিনি বিশাল ভুল করেছিলেন ওয়ান-ইলেভেন হওয়ার পরে। এবং সেই ভুল তিনি টেলিভিশনে সকলের সামনে স্বীকার করেছিলেন। থ্যাংক ইউ মিস্টার মাহফুজ আনাম।”

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, “আমি মনে করি দেশে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা রয়েছে। চলছে—এটা একটা বিপজ্জনক অবস্থা এবং সেটা বিএনপির জন্যও কিছুটা কঠিন।”

“আমি সবসময় ভাবতাম বা এখনো মনে করি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি বেশ একটু আগে আসতে পারতেন, তাহলে এক্ষেত্রে হয়তো বিএনপি এবং দেশের মধ্যে একটা ভালো সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হতে পারত। তাঁর অনুপস্থিতিটা কিছুটা আপনাদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করেছে, নানা ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার সুযোগ হয়েছে। সেটা আপনাদের জন্য নেতিবাচক হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে।”

“একই সঙ্গে যদি বলি, এই এক বছর বা ১৫ মাস ধরেও বিএনপির সকল কর্মকাণ্ড নানা স্তরে নানা ভাবে, নানা ক্ষেত্রে যেভাবে হয়েছে—যতটুকু জানি বা না জানি—সেটুকু বিএনপির জন্য খুব ভালো হয়নি। সেগুলো এখনো সংশোধন ও ভালো করার সুযোগ আছে।”

তিনি বলেন, “আপনাদের দলটা অনেক বড় ও বৃহৎ, এবং আমি মনে করি এখন পর্যন্ত বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল—এটা স্বীকৃত। আর আমাদের যে জরিপ আমরা করেছি, আমরা বিশ্বাস করি সেই জরিপ মোটামুটি সত্যের কাছাকাছি বা মানুষের চিন্তাজগতের কাছাকাছি। সেখানে বিএনপি বৃহত্তম দল হিসেবে এসেছে এবং নির্বাচনে অনেক বেশি ভোট পেয়ে তারা বিজয়ী হবেন।”

“আমরা এটা বিশ্বাস করতে চাই বা হয়তো ভাবতে পারি যে, আপনারা ক্ষমতায় আসছেন। ক্ষমতায় আসছে যে দল, সে দলের নেতৃত্ব এবং দলের সকল পর্যায়ের নেতৃত্ব ও কর্মীবাহিনীর কর্মকাণ্ডের মধ্যে বিনয়, সৌজন্য এবং শালীনতার আরও বেশি প্রতিফলন হওয়া দরকার।”

প্রথম আলো–ডেইলি স্টারের ওপর হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সকল রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মতিউর রহমান।

ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, “আপনারা প্লিজ মনে রাখবেন যে বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে কোনো মিডিয়া অফিসে আগুন জ্বালানো হয়নি। সর্বপ্রথমবারের মতো প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। কেন? আমরা কী অপরাধ করলাম? আমি সমস্ত মিডিয়াকে অনুরোধ করব—সত্যিকার অর্থে আপনারা এই প্রশ্নটি তুলবেন।”

“তবে ভবিষ্যতের দিকে আমি তাকাতে চাই। আমি মিডিয়ার সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়তে চাই। সেখানে আমার অনুরোধ থাকবে—প্রথম ধাপ হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। এটা রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান হওয়া উচিত। মানে কী বলব—ক্রিটিক্যাল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে, কিন্তু আমি আপনার সমালোচনা করব—সেটাও স্বাধীনতা।”

“এখন সালাহ উদ্দিন ভাই, আপনি মিডিয়ার সঙ্গে খুব বন্ধুসুলভ, কারণ আপনি ক্ষমতার বাইরে আছেন। আপনি ক্ষমতায় গেলে কেমন হবেন—আমরা তখন দেখব আপনি একই রকম উদার থাকেন কি না, একইভাবে সমালোচনা গ্রহণ করেন কি না। আমাদের এই ৫৩ বছরের রাজনীতির বড় অভিজ্ঞতা হলো—কোনো সরকারই কখনো ক্রিটিক্যাল জার্নালিজম গ্রহণ করেনি।”

“আমি আশা করব নতুন বাংলাদেশে এই ক্রিটিক্যাল জার্নালিজম আপনারা গ্রহণ করবেন। আমি বলব—ক্রিটিক্যাল জার্নালিজম শুধু ফ্রিডম অব জার্নালিজমের জন্য নয়, এটি গুড গভর্ন্যান্সেরও একটি সুযোগ। আপনি স্বাধীন সাংবাদিকতাকে লালন করবেন—এটা অবশ্যই আমাদের স্বার্থে। কিন্তু আমরা যদি সত্য কথা শুনতে না চাই, তাহলে সেটা বড় ভুল হবে। আমার অনুরোধ থাকবে—নতুন যে বাংলাদেশ আমরা চাই, তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে ভবিষ্যৎ আমরা দেখি, সেখানে যেন ক্রিটিক্যাল জার্নালিজম ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া থাকে।”

নতুন বাংলাদেশে মিডিয়ার স্বাধীনতা জরুরি। মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, “সময়টা অস্থির ও কঠিন। দেশটা দুভাগে বিভক্ত। এই বিভাজনের মধ্যে কথা বলাও খুব ডিফিকাল্ট। তবে আজকের এই অনুষ্ঠানে এসে আমার খুব ভালো লেগেছে।”

“আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে মিডিয়া পলিসি কী হবে—জনাব সালাহ উদ্দিন আহমদ ও জনাব রিজভী আহমেদের বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট।”

তিনি বলেন, “আমি খুবই আশাবাদী হতে চাই যে, আগামী দিনে যদি এর শিখি ভাগ বাস্তবায়িত হয়। মিডিয়া পলিসি যেটা বলা হয়েছে, তারা যদি সেটা বাস্তবায়ন করেন, তাহলেই বোধহয় বাংলাদেশের মিডিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”

তিনি বলেন, “অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে। তারেক রহমান এমন এক সময় আসছেন, যখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপত্তা। মানুষ নিজেকে নিরাপদ ভাবতে চায়। কিন্তু মানুষ এখন নিরাপদ ভাবতে পারছে না।”

“চারদিকের পরিস্থিতি যেদিক যেভাবে যাচ্ছে, আমরা যখন কথা বলছি—এখন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, দিল্লিতে আমাদের হাই কমিশনারের বাসভবনে হামলা হয়েছে, প্রহরীরা আক্রান্ত হয়েছেন। চারদিকে আমি যে খবরাখবর দেখছি—ডেইলি স্টার, প্রথম আলোর ওপর হামলা হলো, এরপর কী হবে কেউ জানে না। সে কারণেই এই অবস্থায় বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি। বিএনপি মানুষের পাশে থাকবে, তারেক রহমান আসবেন, তারেক রহমান সেই প্রতিশ্রুতি দেবেন—সেটা আমি জানি।”

তিনি বলেন, “আমরা সবাই নিরাপদ থাকতে চাই, লিখতে চাই, আমাদের কথা বলতে দিন। আপনারা যদি এটা নিশ্চিত করেন, সাধুবাদ জানাব। আর না হলে আবারও হয়তো আমরা আপনাদের সমালোচনা করব, কিন্তু এই সমালোচনা যেন হঠকারিতায় পরিণত না হয়—সেদিকটাও আমাদের দেখতে হবে।”

“আগামী দিনে যে চ্যালেঞ্জ আসছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এই রাষ্ট্রে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ না হই, রাষ্ট্র বিপন্ন হয়ে যাবে। সেই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব যদি বিপন্ন হয়ে যায়, তাহলে আমরা কেউই থাকব না। আগামী দিনের সুন্দর ভবিষ্যৎ—তারেক রহমানের আগমনকে আমি শুভেচ্ছা জানাই। আমি মনে করি, তিনি আসলে বাংলাদেশের চেহারা হয়তো পাল্টে যাবে।”

গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কামাল আহমেদ বলেন, “কৌতুক করার অধিকার মানুষকে দিতে হবে। তারেক রহমানকে আমি প্রশংসা করি এই কারণে যে, তিনি একটি দিকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন—স্বৈরাচারের পতনের পর নিজের ছবি নিয়ে করা একটি কার্টুন প্রথমে তিনি নিজেই শেয়ার করেছিলেন।”

“ভবিষ্যতে যেন আরও কার্টুন হয় এবং সেই কার্টুন হওয়ার, কৌতুক করার সুযোগ থাকে। আপনাদের মাঠপর্যায়ের সমর্থকরা কিংবা মধ্যম সারি ও নিম্ন সারির নেতারা যেন তেড়ে না আসেন—সেটাও আপনাদের তাঁদের শেখাতে হবে।”

তিনি বলেন, “আর যেন নিরাপত্তা সংস্থা থেকে ফোন করে বলা না হয়—কোন টকশোতে কাকে ডাকা হবে। এই চর্চাটা যেন বন্ধ হয়।”

“খুবই আশার কথা যে, ১৭ বা ১৮ বছরের প্রবাসী জীবন কিংবা নির্বাসিত জীবন শেষে বিএনপির প্রধান তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আসছেন। তিনি তাঁর পুরো নির্বাসিত জীবন যুক্তরাজ্যে, ব্রিটেনে কাটিয়েছেন।”

“ব্রিটেনের গণতন্ত্র কেমন করে কাজ করে—সেটা তাঁর খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। সেখানে গণতন্ত্র কীভাবে কাজ করে, বিশেষ করে পত্রিকা ও গণমাধ্যম—সেটাও তাঁর দেখার সুযোগ হয়েছে। আমরা আশা করব, তিনি সেটা এখানে প্রয়োগের সুযোগ করে দেবেন। আমরা সেটার চর্চা করতে চাই।”

এ ছাড়া নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ, ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ইউএনবির সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুদুর রহমান খলিলী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম, যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী ফাহিম আহমেদ, বিবিসির জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি কাদির কল্লোল, এটিএন বাংলার পরিচালক (বার্তা) হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কাজী জেসিন, আশরাফ কায়সার, আবদুর নূর তুষার, নিউজ টোয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ শরীফুল ইসলাম খান।

সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নয়া দিগন্তের সালাহ উদ্দিন বাবর, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের শামসুল হক জাহিদ, দেশ রূপান্তরের কামাল উদ্দিন সবুজ, বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, দ্য সানের রেজাউল করিম, লোটাস, সমকালের শাহেদ মোহাম্মদ আলী, আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, খবরের কাগজের মোস্তফা কামাল, জনকণ্ঠের খোরশীদ আলম, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মারুফ কামাল খান, বাংলা বাজারের রাশেদুল হক, বাংলা নিউজের তৌহিদুর রহমান মিঠু, ইটিভির আবদুস সালাম, ডিভিসির লোটন ইকরাম, বাংলা ভিশনের আবদুল হাই সিদ্দিকী, এসএ টিভির মাহমুদ আল ফয়সাল, এনটিভির ফখরুল ইসলাম কাঞ্চন, বৈশাখী টিভির জিয়াউল কবির সুমন, একাত্তর টিভির শফিক আহমেদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির মোস্তফা আকমল, মাছরাঙা টিভির রেজানুল হক রাজা, নাগরিক টিভির এরফানুল হক নাহিদ, জিটিভির গাউসুল আজম বিপু, এটিএন নিউজের শহীদুল আজম, দেশ টিভির মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, এখন সময়ের তুষার আবদুল্লাহ, নিউ এজের শহীদুজ্জামান, যুগান্তরের নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সুমন মাহমুদ, আমাদের সময়ের নজরুল ইসলাম, স্টার নিউজের ওয়ালিউল মিরাজ, মোহনা টিভির এম এ মালেক, গ্রীন টিভির মাহমুদ হাসান, দীপ্ত টিভির এ এম আকাশ, ঢাকা পোস্টের কামরুল ইসলাম, ঢাকা মেইলের হারুন জামিল।

এ ছাড়া ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ, মহিউদ্দিন খান মোহন, জাহিদুল ইসলাম রনি, নিউজ টোয়েন্টিফোরের ডিএমডি গিয়াস উদ্দিন রিমন, শীর্ষ নিউজের একরামুল হকসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল জবিহ উল্লাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জিয়া উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা মাহাদী আমীন, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, আতিকুর রহমান রুমন, মীর হেলাল, মোর্শেদ হাসান খান, শাম্মী আখতার, শায়রুল কবীর খান, মাহমুদা হাবিবা, ফারজানা শারমিন পুতুল, শামসুদ্দিন দিদার এবং খালেদা জিয়া–তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।