২৯ ঘণ্টায় তাসনিম জারার নির্বাচনী ফান্ড রেইজিং লক্ষ্যমাত্রা পূরণ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪১ পূর্বাহ্ন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মাত্র ২৯ ঘণ্টায় প্রায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ায় আপাতত আর কোনো অনুদান গ্রহণ করা হবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান ডা. তাসনিম জারা।
পোস্টে তিনি বলেন, “আমাদের ফান্ড রেইজিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৭ লাখ টাকা আপনারা মাত্র ২৯ ঘণ্টায় পূরণ করে ফেলেছেন। এই অভূতপূর্ব সাড়া পুরোনো রাজনৈতিক ধারার মূলে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। আপনাদের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আর কোনো অনুদান গ্রহণ করছি না।”
তিনি বলেন, এখন শুরু হচ্ছে মূল লড়াই। তার ভাষায়, অধিকাংশ প্রার্থী এই নির্বাচনে ১০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করবেন। অনেকেই মনে করেন টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায়, তবে তারা ভুলে গেছেন—এই লড়াইয়ে তার পাশে আছেন সাধারণ মানুষ, যারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করতেও প্রস্তুত।
নির্বাচনী কৌশল প্রসঙ্গে ডা. তাসনিম জারা বলেন, ঢাকা-৯ আসনে প্রায় পাঁচ লাখ ভোটার রয়েছেন। একজন প্রার্থী হিসেবে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা সময় দিয়ে হেঁটে হেঁটে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১১০টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব। পুরো নির্বাচনী প্রচারণায় সর্বোচ্চ চার হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছানো যাবে, ফলে কয়েক লাখ পরিবারের কাছে সরাসরি বার্তা পৌঁছানো সম্ভব নয়।
তিনি জানান, টাকার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করার অংশ হিসেবে তারা কোনো পেইড কর্মী নিয়োগ দেবেন না। মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছাতে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, অনেক সমর্থক ঢাকা-৯ আসনের ভোটার না হলেও তাদের আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিতজন ওই এলাকায় বসবাস করেন। পরিচিত মানুষের একটি কথাই অনেক সময় পোস্টার, ব্যানার বা ব্যয়বহুল প্রচারণার চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে। তিনি জানান, নিয়ম মেনে তিনি পোস্টার ব্যবহার করেননি, যেখানে অন্য প্রার্থীরা পোস্টার ব্যবহার করছেন—এই অসমতা কাটাতেও একটি ফোন কল বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
এ সময় তিনি সমর্থকদের কাছে দুটি নির্দিষ্ট আহ্বান জানান। প্রথমত, সপ্তাহে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার অনুরোধ জানান। দ্বিতীয়ত, পোলিং এজেন্ট হিসেবে অথবা ভোটের দিন ভোটারদের সহায়তায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. তাসনিম জারা বলেন, “আমরা একসঙ্গে প্রমাণ করব—জনগণের সম্মিলিত শক্তির সামনে কোটি কোটি কালো টাকা কতটা অসহায়।”
ফান্ড ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তিনি জানান, কোনো নগদ অনুদান গ্রহণ করা হয়নি। সব অর্থ একটি নির্দিষ্ট বিকাশ নম্বর ও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। অনুদানের প্রতিটি হিসাব নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে এবং সব নথিপত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে। পাশাপাশি অনুদানের অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে, সেটিও স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।