চাকরির বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) আগ্রাসী প্রভাব, বদলে যাচ্ছে কাজের ধরন ও দক্ষতার চাহিদা

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence - AI) দ্রুতগতিতে প্রভাব বিস্তার করছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, গণমাধ্যম এবং গ্রাহকসেবা খাতে AI প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চাকরির ধরন ও কর্মক্ষেত্রের চাহিদা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে এমন অনেক পেশা বিলুপ্ত হতে পারে যেগুলোকে সহজেই অটোমেশন ও AI দিয়ে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ—যেমন AI ডেভেলপার, ডেটা অ্যানালিস্ট, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, এবং প্রযুক্তিনির্ভর ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট নির্মাতা।
আরও পড়ুন: ফেসবুক ডেটিংয়ে সঙ্গী খুঁজে পেতে সাহায্য করবে এআই
যেসব খাতে AI-এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি:
গ্রাহকসেবা (Customer Service): চ্যাটবট ও ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের কারণে কল সেন্টার জব হ্রাস পাচ্ছে
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে সিলিকন ভ্যালি
ব্যাংকিং ও ফিনান্স: স্বয়ংক্রিয় লোন প্রসেসিং, ফ্রড ডিটেকশন
স্বাস্থ্যসেবা: রোগ নির্ণয়ে AI-এর ব্যবহার বাড়ছে, ডাক্তার ও টেকনিশিয়ানের ভূমিকা রূপান্তরিত হচ্ছে
মিডিয়া ও কনটেন্ট: কন্টেন্ট অটোমেশন, জেনারেটিভ AI দিয়ে সংবাদ বা স্ক্রিপ্ট লেখা
দক্ষতার পরিবর্তন:
চাকরি টিকে রাখার জন্য টেকনোলজিক্যাল স্কিল এখন বাধ্যতামূলক হয়ে উঠছে। বিশেষ করে:
প্রোগ্রামিং (Python, Java)
ডেটা অ্যানালাইসিস
মেশিন লার্নিং
ক্রিটিকাল থিংকিং
ক্রিয়েটিভিটি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন না, তারা চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন। অন্যদিকে, দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কেউ কেউ আরও ভালো ও উচ্চ বেতনের চাকরিও পেতে পারেন।
করণীয় কী:
কর্মজীবীদের রিস্কিল ও আপস্কিল করতে হবে
শিক্ষাব্যবস্থায় AI ও প্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে
রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি উদ্যোগে ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করা জরুরি