বাংলাদেশী ৬ জেলে ভারতীয় জলদস্যুদের হাতে অপহৃত

Sadek Ali
আব্দুল আহাদ, শ্যামনগর সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:১০ পূর্বাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের আওতাধীন মামুন্দো ও বৈকেরি নদীর বিভিন্ন খাল থেকে রাশিদুল ইসলাম (৩৫) ও আতাউর রহমান (৩২)সহ ছয় বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।অপহৃত জেলেদের ফিরে আসা সহযোগীদের দাবি, প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা তাদের অপহরণ করেছে।।

অপহৃত জেলে মান্নান বরকন্দাজের ছেলে রাশিদুল ও সামসুর রহমানের ছেলে আতাউর সহ অপহরণের শিকার ৬জন জেলে সকলেই সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি এবং টেংরাখালী গ্রামের বাসিন্দা। রাশিদুল ও আতাউর ছাড়া বাকি চারজনের চার জনের অপহরণের বিষয় নিশ্চিত কালিঞ্চীর মোশাররফ।

আরও পড়ুন: নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

অপহৃত জেলেদের ফিরে আসা সহযোগীরা বলেন, মুক্তিপণের দাবিতে তাদের সঙ্গীদের উঠিয়ে নেয় ৯ সদস্যের ভারতীয় জলদস্যু দলটি। তারা চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ভারতীয় নৌযান নিয়ে বাংলাদেশী জেলেদের উপর হামলা করে সকালের দিকে দু’জনকে মাছের নৌকা থেকে তুলে নেয়। এরপর আবার দুপুরের দিকে চারটি পৃথক নৌকা থেকে আরও চারজনকে মুক্তিপণের জন্য জিম্মি করে নিয়ে যায় দস্যু দলটি।

জানাযায় ৬ জেলে অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে সিমান্তবর্তী উপকুলীয় শতাধিক গ্রামবাসী সীমান্তবর্তী নদীতে অবস্থানরত দস্যুদের উদ্দেশ্যে রওনা হলেও বিজিবি সদস্যরা মাঝপথে তাদের আটকে দেয়।

আরও পড়ুন: পিরোজপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে জামায়াতের শুভেচ্ছা

এদিকে উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের নুরুল হক জানান, দু’দিন আগে বনবিভাগের পাশ (অনুমতিপত্র) নিয়ে তারা তিনজন সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান। গত ১৬ই সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা ১১টার দিকে ভারতীয় বড় একটি বোট নিয়ে এসে জলদস্যুরা তাদের অপহরণের চেষ্টা চালায়। 

তিনি বলেন, অন্যান্য জেলেদের সাথে পাশাপাশি জাল ফেলে তারাও মাছ ধরছিল। এসময় ৯ সদস্যের ভারতীয় জলদস্যু দলটি সেখানে পৌঁছে দুই নৌকা থেকে তাদেরকে উঠিয়ে নিলেও অপর তিনটি নৌকায় অবস্থানরত সকল জেলেরা নৌকা রেখে বনের মধ্যে উঠে যায়।

এবিষয়ে স্থানীয় রমজাননগর ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লাল্টু বলেন, মুক্তিপণের জন্য ছয় জেলেকে অপহরণের খবর পেয়ে তারা শতাধিক গ্রামবাসী ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তবে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না দেয়ায় তাদেরকে পথিমধ্যে আটকে দেয়া হয়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে একই জলদস্যু বাহিনীর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বুধবার একইভাবে আরও কয়েকজন জেলে অপহরণের খবর পেয়ে অপহৃত জেলের পরিবারসহ গ্রামবাসীদের ডাকে সাড়া দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েও ফেরত এসেছে।