সীমান্ত উত্তেজনায় বান্দরবানে ৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৩:০৬ অপরাহ্ন, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৯:০৬ পূর্বাহ্ন, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলির কারণে আতঙ্কে আছেন সীমান্তবর্তী স্থানীয় সাধারণ মানুষ। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা রয়েছে। উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতভর ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া।

আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় ২০ আগস্টের পর নিয়ম ভাঙলেই ব্যবস্থা: ইউএনও

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমারের ভেতরে গতরাত থেকেই প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলার সীমানার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রু পশ্চিমকূলে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গতরাত থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা জানান, গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির কারণে ধুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ পারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকূল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ধুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপদে অবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় আউস ধানের নমুনা শস্য কর্তন উদ্বোধন

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনি জানান, সীমান্তের একশ গজ দূরত্বে থাকা মিসকাতুন নবী দাখিল মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।