নারায়ণগঞ্জে হত্যা ও ছিনতাই চক্রের ৭ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার, অটোরিক্সা ও নগদ টাকা উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে এক অজ্ঞাতনামা পুরুষের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তা পরিচয় সনাক্ত হলে, ৫ ফেব্রুয়ারি নিহতের পরিবার হত্যা মামলা করে। মামলার তদন্তে নৌ পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা ও অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের ৭ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
গত ১৬ জানুয়ারি কাঁচপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অধিক্ষেত্র নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইলো ঘাট সংলগ্ন বিশ্ব খাদ্য গুদামের পূর্ব পার্শ্বে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে ভাসমান অবস্থায় একটি অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৫১) এর মরদেহ পাওয়া যায়। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে মরদেহটি পরিচয় সনাক্ত হওয়ার পর ভিকটিমের পরিবার গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।
এরই প্রেক্ষিতে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন, বিপিএম—সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) এর নেতৃত্বে কাঁচপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ আবদুল মাবুদসহ নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল হতে গঠিত স্পেশাল টিম এই হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের জন্য বিশেষ তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর কোথায় গেল?
নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত এবং অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের ১। লিয়ন (৩২), ২। মোঃ বোরহান@ইমরান@ সোহেল@পিচ্ছি (২১), ৩। মোঃ শাওন বেপারী (২২), ৪। মোসাঃ পারভীন বেগম (২২), ৫। শাহীন মোল্লা (৩০), ৬। মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও ৭। মোঃ আল আমিন সর্দার (৩৮) সহ সাতজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইকৃত একটি অটোরিক্সা, মৃতের ব্যবহৃত একটি আইটেল মোবাইল ফোন, চালককে অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত চেতনা নাশক ঔষধ, একটি অটোরিক্সা বিক্রির নগদ ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে অটোরিক্সা চালককে চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে হত্যা করার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়াসহ অটোরিক্সা ছিনতায়ের সাথে সরাসরি জড়িত। অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।