ভুল চিকিৎসায় পা হারালো শিক্ষার্থী

লক্ষ্মীপুরে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভুল চিকিৎসায় পা হারালেন মো. আফতাব (১৭) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। কলা গাছ কাটতে গিয়ে তার পা কাটার পর চিকিৎসা করতে গেলে সার্জারি ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা না করিয়ে জরুরি বিভাগে থাকা লোক চিকিৎসা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মো. আফতাব রায়পুর উপজেলার ৪ নম্বর সোনাপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। সে রেয়ার মডেল মাদ্রাসার এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: বাবা লেচু মিয়ার জনপ্রিয়তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দা আদিবা হোসেন
আফতাবের পরিবার সূত্র জানায়, গত ১৭ মার্চ কলা গাছ কাটতে গেলে পা কেটে যায় তার। পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একটা এক্স-রে করে কাটা পা সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। কিছু নরমাল ওষুধ দিয়ে ৩-৪ দিন পরে এসে ড্রেসিং করাতে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরপর ২ বার ড্রেসিং করানো হয়। পায়ের অবনতি দেখেও চিকিৎসক কিছুই জানায়নি। শেষ যখন ওর পায়ে পচন ধরে তখন তারা বলে আমাদের দ্বারা আর সম্ভব না, আপনারা ঢাকা নিয়ে যান।
গত ৩-৪ দিন আগে তাকে ঢাকা সেবিকা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানান, ‘তার পায়ের অবস্থা ভালো না, অপারেশন করে পা কাটা লাগবে।’ পরে তার পা অপারেশনের মাধ্যমে কাটা হয়।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির অজুহাতে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ, লাপাত্তা ঠিকাদার
শিক্ষার্থী আফতাব বলেন, ‘আমি খুবই অসুস্থ। ভুল চিকিৎসায় আমি পা হারিয়েছি। ওই লোকগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।