বসত ভিটা ও ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে

রূপগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব অবহেলার প্রতিবাদে কৃষকদের বিক্ষোভ

Sanchoy Biswas
শ্রী দিপু চন্দ্র গোপ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ন, ১১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৯ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার উত্তর রূপগঞ্জ পানি সংরক্ষণ ও সেচ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলায় দাউদপুরসহ ৩ ইউনিয়নের রহিলা, আগলা, দুয়ারা, বেলদি, পুটিনা, জিন্দা, বৈলদা, উলুপ, বাগলা, আমিদা, কানিবাগ, নোয়াগাঁও, মানিকপুর, তুমুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ১৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে থাকা ও জলাবদ্ধতার প্রতিবাদে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুলাল হোসেন।

১১ আগস্ট সোমবার দুপুরে দাউদপুর ইউনিয়নের কলিঙ্গা এলাকায় অবস্থিত উত্তর রূপগঞ্জ পানি সংরক্ষণ ও সেচ প্রকল্প কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সেচ পাম্প সচল, নিষ্কাশন খাল পরিষ্কার করা, ফসলি জমি রক্ষা করা ও বসতঘরগুলো থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।

আরও পড়ুন: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পদ হারালেন পটুয়াখালী জেলা মহিলা দল সভাপতি আফরোজা সীমা

এ সময় দুলাল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভা, গোলাকান্দাইল ও মুড়াপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা নরসিংদী-নারায়ণগঞ্জ সেচ প্রকল্পের কারণে বসতঘরসহ পানিবন্দি রয়েছেন। পাশাপাশি দাউদপুরের কৃষকরা ফসলি জমি তলিয়ে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রূপগঞ্জের জনগণ। তাই এসব সমস্যার সমাধানে অবিলম্বে দপ্তরগুলোতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োজিত রাখার দাবি জানান।

স্থানীয় কৃষক ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াসহ আরও অনেকে বলেন, এখানে কর্মকর্তারা অফিস করেন না। তাই জলাবদ্ধতা সব সময় থাকে। ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে থাকে। ফসল উৎপাদন কম হয়।

আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

উত্তর রূপগঞ্জ পানি সংরক্ষণ ও সেচ প্রকল্পের প্রকৌশলী সাদিকুর রহমান বলেন, এ প্রকল্পে আমিসহ প্রায় ২০ জন স্টাফ, কর্মচারী ও আনসার রয়েছেন। ১০টি পাম্প নিয়মিত জলাবদ্ধতা নিরসনে চালানো হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে যে পরিমাণ পানি জমেছে, সে পরিমাণ সেচের ব্যবস্থা এখানে নেই। এছাড়া বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। তবে স্থানীয় কৃষকদের চিন্তা মাথায় রেখে অচিরেই আমরা জলাবদ্ধতা নিরসন সমাপ্ত করতে পারব বলে আশা করছি।

উল্লেখ্য, প্রায় ৩৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্মাণ ব্যয়ে ১৯৯০ সালে ৫,৯৭০ হেক্টর জমির জন্য উত্তর রূপগঞ্জ ওয়াটার কনজারভেন্সি প্রজেক্ট গড়ে তোলা হয়।