নগরকান্দায় স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে স্বামীর আত্মহত্যা

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের মোশারফ বিশ্বাসের মেয়ে মিনু আক্তার (৩৫) এর স্বামী নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার হোমনাবাদ শ্রীপুর গ্রামের নাসিরুদ্দিনের ছেলে রবিউল বশর সহেল (৫০) পারিবারিক কলহের জেরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে পোস্টমর্টেম করার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল মার্গে পাঠান। প্রায় ৬ বছর হয় মোবাইলের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে হয় দুজনের। দুটি সন্তান রয়েছে তাদের। মিনু আক্তার ছিলেন রবিউল বশর সহেলের দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই স্ত্রী কে নিয়ে সংসার পরিচালনা করেন ভিন্ন ভাবে। প্রায় আড়াই মাস হয় রবিউল বশর সোহেল থাকতেন দ্বিতীয় স্ত্রী মিনু আক্তার এর বাবার বাড়ি বিলনালিয়া গ্রামে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকত এবং মিটেও যেত। ১৭ আগস্ট রবিবার বিকালে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। বাড়ি থেকে একটি সন্তান নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে বের হয়ে পুনরায় শশুর এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। ঘটনা রাতে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি কিল ঘুষি চড় থাপ্পড় মারামারির ঘটনা ঘটে। রাগের বশে স্বামী স্ত্রীর দুজনে আলাদা ঘরে থাকার সময় রাত ৯ টার সময় স্ত্রীর কাছে আসেন সোহেল। রাত দুইটা নাগাদ চলে স্বামী স্ত্রীর গৃহযুদ্ধ। অবশেষে আলাদা ঘরে আলাদা ভাবে নিদ্রা যায় দুজন। মিনু আক্তার সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বামীকে খুঁজতে তাদের বাড়িতে যায়। সেখানে না পেয়ে পাশের মিনুর বাবার বাড়িতে ওয়াশরুমে খুঁজতে গিয়ে দেখেন আম গাছের সাথে গলায় রশি দিয়ে মৃত্যু অবস্থায় স্বামীর লাশ ঝুলছে। চিৎকার দিলে আশপাশের লোক ছুটে আসে এবং ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ মাটিতে নামায়।
আরও পড়ুন: ঝগড়া থামাতে গিয়ে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
রবিউল বশর বিদেশে থাকতেন। নিহতের স্ত্রী মিনু আক্তার বললেন, মোবাইলের পরিচয়ে সম্পর্ক করে বিয়ে হয় আমাদের দুজনের।আমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী।আমার স্বামী দুই জায়গায় থাকেন।প্রায় আড়াই মাস হয় আমাদের বাড়িতে থাকেন।অভাবের সংসার তার কোন কাজবাজ নেই।আমি চাকরি করব বলে তাকে জানিয়েছি কিন্তু সে চাকরি করতে দিবে না।এ নিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়।সে আমাকে মারধর করে আমিও তাকে মারধর করি।সে রাতে রাগ করে চলে যাওয়ার পরও আমার কাছে আসে আমাকে বুঝায় সান্তনা দেয়।রাতে আমার কাছ থেকে অন্য ঘরে ঘুমাতে চলে যায়।সকালে খুঁজতে বের হয়ে দেখি আমার বাবার ঘরের সামনে আম গাছে রশি দিয়ে ঝুলে আছে। আমি চিৎকার দিলে বাড়ির আশেপাশের লোকজন দৌড়ে আসে এবং মাটিতে নামায়।নগরকান্দা থানার ইন চার্জ আমিরুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনা স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।ময়নাতদন্ত শেষে পোস্টমর্টেম করতে ফরিদপুর মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে আত্মহত্যার কারণ জানা যাবে।