নরসিংদীতে দোকান কর্মচারীকে গলাকেটে হত্যা

নরসিংদীর হাজীপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এক দোকান কর্মচারীকে প্রকাশ্যে গলাকেটে হত্যা করেছে অপর এক দোকানচারী।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার হাজীপুরের বৌবাজার এলাকার মদিনা ওয়ার্কশপের সামনে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাদাপাথর কাণ্ডে ভাইরাল হতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন মোকাররিম!
নিহত মোজাম্মেল (৩০) রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি হাজীপুরের মধ্যপাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং সিএন্ডবি রোডের চৌধুরী মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাজীপুরের মদিনা ওয়ার্কশপের সামনে মোজাম্মেল দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কাউছার মিয়া ও রাকিব নামে দুইজন তার পথরোধ করে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাউছারের হাতে থাকা দা দিয়ে মোজাম্মেলের ঘাড়ে কোপ দেয় এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মোজাম্মেলকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বৃক্ষরোপণ
মার্কেট সূত্রে জানা যায়, নিহত মোজাম্মেল ও কাউছার উভয়ই একই মার্কেটের শামীম মিয়া ও সুমন মিয়ার দোকানের কর্মচারী। দোকান দুটি পাশাপাশি হওয়ায় তারা একে অপরের পরিচিত ছিলেন। গত ২/৩ দিন আগে দোকানে পানি ছিটানোকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এ থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়েছিল।
নিহতের বাবা চাঁন মিয়া বলেন, “আমার ছেলে সিএন্ডবি রোডের একটি দোকানে কাজ করত। আজ সকাল দশটার দিকে সে বাড়ি থেকে বের হয়। তার কারও সঙ্গে কোনো টাকা-পয়সা বা বিরোধ ছিল না। কী অপরাধ ছিল তার? কাউছারই আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।”
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রোজী সরকার বলেন, “নিহত ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে।”
এ বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, “ঘটনার পরপরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। আসামি গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।” তিনি আরও জানান, “সুরতহাল শেষে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।”