কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে পিটুনির পর একজনের মৃত্যু

Sanchoy Biswas
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:০৯ অপরাহ্ন, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:২০ পূর্বাহ্ন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দক্ষিণগাঁও গ্রামে ঘরের হাড়িপাতিল চুরির সন্দেহে মারধরের ১৩ ঘণ্টা পর মো. মোজাম্মেল (৫০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার রাত আটটার দিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত মোজাম্মেল ওই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে ১০–১২ জন মিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

আরও পড়ুন: পটুয়াখালীর সাবেক মেয়র ম‌হিউ‌দ্দিন আহমেদ ঢাকায় গ্রেফতার

এর আগে একই দিন সকাল সাতটার দিকে সনমানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও গ্রামে স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানেই রাত আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত মোজাম্মেলের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া বলেন, "আমার স্বামী কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।"

আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ

নিহতের ভাই বলেন, "পাশের বাড়ি রকিবরা অবৈধ বিদ্যুৎ চালায় বলে প্রতিবাদ করে আমার ছোট ভাই মোজাম্মেল। এ জন্য রকিবসহ আরও কয়েকজন মিলে পরিকল্পনা করে মোজাম্মেলকে মেরে ফেলবে।"

নিহতের চাচাতো ভাই ওমর ফারুক বলেন, "আমার আপন চাচাতো ভাই মোজাম্মেলকে চুরির অপবাদ দিয়ে যেভাবে নির্মমভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে, আমরা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। তারা একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় আমাদের খবর দেয়। আমরা পুলিশ নিয়ে গিয়ে দেখি মোজাম্মেলের অবস্থা খুবই খারাপ। পরে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই।"

মোজাম্মেলের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া বাদী হয়ে রোববার কাপাসিয়া থানায় মামলা করেছেন। তিনি এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। তার দাবি, অসত্য অভিযোগ তুলে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, "মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"