আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গোৎসবের শুভ মহালয়া

Sanchoy Biswas
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:৪১ অপরাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:১২ পূর্বাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ ২১শে সেপ্টেম্বর রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দূর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া। রোববার থেকেই শারদীয় দূর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে। ভোরের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পিতৃপক্ষ শেষে শুরু হবে দেবীপক্ষ। চণ্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে মর্ত্যে দেবী দূর্গাকে জানানো হবে আসার আহ্বান। মহালয়া উপলক্ষে চণ্ডী পাঠ ছাড়াও বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে মহালয়ার ঘাট স্থাপন ও বিশেষ পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হবে। মূলত মহালয়া মানেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজার দিন গণনা শুরু হয়।

এই মহালয়া শারদীয় দূর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুরাণে বা গীতায় আছে যে, শারদীয় দূর্গা পূজার ৩টি পর্ব আছে—মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুরাণ বা গীতার মতে মহালয়ার দিনে দেবী দূর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোন মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলে অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়। তাই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবত্রয়ী সম্মিলিতভাবে মহামায়ার রূপে অমোঘ নারী শক্তি সৃষ্টি করেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে সিংহ বাহিনী নিয়ে দেবী দূর্গা ৯ দিন ব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত এবং হত্যা করেন।

আরও পড়ুন: নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

মহালয়ার ভোর থেকেই শুরু হয় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা। সনাতন ধর্মে বলা হয়—পিতৃ পক্ষে প্রয়াত আত্মারা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আসেন। অনেকে মৃত আত্মীয়-পরিজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনা করেন। পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে জল, তিল ও অন্ন উৎসর্গ করে তর্পণ করা হয়। আসন্ন আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর পঞ্চমী পূজার মাধ্যমে দূর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই দূর্গা পূজার আগমন ধ্বনি শোনা যাবে এবং দেবী দূর্গার মর্ত্যে আগমন ঘটবে।