বজ্রপাতে ছয় জেলায় ১০ জনের মৃত্যু

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ন, ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৮:২৫ অপরাহ্ন, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে একই দিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও বগুড়ায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা

আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী বাঁচাতে ছয় দফা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জামায়াতের র‌্যালি

কুমিল্লার হোমনায় বিকেলে ভবানীপুর খেয়াঘাট এলাকায় বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজন মারা যান। নিহতরা হলেন—নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত হাজী মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৫) ও জাকিয়া বেগম (২৫) এবং খোদে দাউদপুর গ্রামের রাশেদ মিয়া (২২), পিতা রাহিনুর ইসলাম।

নারায়ণগঞ্জ

আরও পড়ুন: দেবীদ্বারের কৃষিতে ফিরেছে সবুজ হাসি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকায় বজ্রপাতে মারা গেছে স্কুলছাত্র ওয়াসিম (১৩)। সে উলুকান্দি এলাকার দিলা মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান শিমুল বিশ্বাস (২৮), পিতা শমসের বিশ্বাস। একই ঘটনায় শৈলকূপা উপজেলার শেখড়া গ্রামের হুরমত শেখ (৫৫)-ও প্রাণ হারান।

গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দী গ্রামে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন কৃষক আব্দুল আজিজ (৪৫), পিতা মকবুল হোসেন।

কুড়িগ্রাম

নাগেশ্বরীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মারা গেছেন মাদরাসাছাত্র মোহাম্মদ বাবলু মিয়া (৭) এবং সহিব (২৫)। বাবলু নুনখাওয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার নূর হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। সহিবর বাড়ি বামনডাঙা ইউনিয়নের চর লুচনি গ্রামে; তার পিতা আবুল কাশেম।

বগুড়া

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমাছেও গ্রামে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন শেফালি বেগম (৪০)। তিনি ওই গ্রামের দেলোয়ার প্রামাণিকের স্ত্রী।

প্রতিটি ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহানুভূতি জানানো হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী কয়েক দিন বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।