‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে শহীদ মিনারে হাজার হাজার শিক্ষক

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৭ অপরাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২:৪৫ অপরাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

২০ শতাংশ বাড়িভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছেন হাজারো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন।

জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব শিক্ষক আবুল বাশার জানান, “আমাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্যই আজ সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করছি। শিক্ষকদের ওপর পূর্বে পুলিশ হামলা চালিয়েছিল। আজ যদি আবারও হামলা হয়, তবে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

আরও পড়ুন: তিন যুগ পর আগামীকাল চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন

শিক্ষকরা জানান, ২০ শতাংশ বাড়িভাতা, ১,৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।

এর আগে সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়িভাতা ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব। পাশাপাশি তারা সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার রহস্যজনক মৃত্যু

গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরানোর চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে নেতৃবৃন্দের আহ্বানে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

রোববার ও সোমবার রাতভর শিক্ষকরা শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটান। তাদের দাবি, “প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

অন্যদিকে, সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন। তারা বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ, শিক্ষক লাউঞ্জ ও অফিসকক্ষে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সংহতি প্রকাশ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ঢাকায় অবস্থানরত আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে অসংখ্য পোস্ট দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা।