নবীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি রিফাতসহ গ্রেপ্তার ২

Sadek Ali
ফরিদ আহমেদ, নবীনগর
প্রকাশিত: ৯:০১ পূর্বাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:১১ অপরাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গণি শাহর মাজার সংলগ্ন হোটেলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় গুলিতে জোরা খুনের ঘটনায় এমরান মাস্টার বাহিনীর প্রধান রিফাতসহ ২ জনকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।গ্রেপ্তারকৃতরা হল রিফাত (৩০) ও রিমন (২৮)। সোমবার  ভোর রাতে র‍্যাব-৯ সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি দল জেলা পুলিশের সহায়তায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর খোসকান্দি এলাকায়  অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব-৯ সূত্র জানায়, জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণিশাহ মাজার এলাকায় মাদকের আধিপত্য নিয়ে গণি শাহ মাজার এলাকায় থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান মাস্টার গ্রুপ ও নূরজাহানপুর গ্রামের মন্নাফ মিয়ার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১ নভেম্বর রাতে ওই বিরোধের জের ধরে এমরান মাস্টারের বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় শিপন ও ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। 

আরও পড়ুন: এক মেয়েকে পছন্দ করা কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ

এ বিষয়ে র‍্যাব-৯ সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নুরনবী বলেন, আজ ১০ নভেম্বর ভোরে র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাতকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া জবানবন্দীতে থোল্লাকান্দি গ্রামের লিমনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দোচালা টিনসেড ঘরের খাটের নিচে মাটির ভিতর লুকানো অবস্থায় একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও সাত রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত এজহারভূক্ত আসামি। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমছে, বাড়ছে শীতের অনুভূতি