অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখা মাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ারের নির্দেশ দিলেন সিএমপি কমিশনার

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:২৩ পূর্বাহ্ন, ১২ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:২৩ পূর্বাহ্ন, ১২ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে গুলি ও হত্যাকাণ্ড বাড়ায় টহল-চেকপোস্ট জোরদার, পুলিশের কাছে শিশা শটগান, দু’টি গ্যাস গান ও নাইন এমএম পিস্তল বহনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ মঙ্গলবার টহল ও থানা ইউনিটগুলিকে ওয়্যারলেসে নির্দেশ দিয়েছেন — আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখা মাত্র সাবমেশিন গান (এসএমজি) দিয়ে ‘ব্রাশফায়ার’ চালাতে হবে। কমিশনার স্পষ্ট করেছেন, এই নির্দেশ নিরস্ত্র সাধারণ জনগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। নির্দেশনার সঙ্গে আরও বলা হয়েছে — টহল ও অভিযানে পুলিশ সদস্যরা শিশা শটগান, দুইটি গ্যাস গান ও নাইন এমএম পিস্তল বহন করবেন এবং স্থায়ী চেকপোস্ট সংখ্যা সাতটি থেকে বৃদ্ধি করে ১৩টি করা হবে।

আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় সড়কের পাশে পার্কিং করা বাসে আগুন

সিএমপি সূত্র বলছে, গত ৫ নভেম্বর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় একটি গণসংযোগে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন (বাবলা) নিহত হন; একই ঘটনায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ কয়েকজন আহত হন। এরপর থেকেই নগরীতে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড ও অস্ত্রবাজি প্রতিহত করতে কমিশনার এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানান।

কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, দেখামাত্র ব্রাশফায়ার হবে শুধুমাত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের জন্য — নিরস্ত্র জনসাধারণের ওপর এটি প্রয়োগ করা হবে না। আমাদের লক্ষ্য সন্ত্রাসীদের নগরে প্রবেশের সাহসই কমানো। তিনি যোগ করেন, পুলিশের আত্মরক্ষা সংক্রান্ত অধিকার — দণ্ডবিধি ৯৬ থেকে ১০৬ — প্রয়োগের ক্ষেত্রে সকল দায়িত্ব নিজেই গ্রহণ করবেন।

আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের আমেজ, একদিনে তাপমাত্রা কমলো দুই ডিগ্রি

সিএমপি পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন নির্দেশনার মধ্যে লাইভ অ্যাম্যনিশানসহ পেট্রোল পার্টি, মোবাইল পার্টি ও ডিবি টিম ছাড়া বের হবে না এমন নির্দেশনার কথাও পূর্বে দেওয়া হয়েছিল। কমিশনারের এই কড়া বার্তা নগরের বিভিন্ন থানায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।

বিভিন্ন মানবাধিকার ও নাগরিক সংগঠন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যুদ্ধকৌশল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা ও তদারকি বজায় রাখার আহ্বান জানাতে পারে— কিন্তু সিএমপির সূত্রের মতে এই নির্দেশনা মূলত চলমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দিষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ওপর নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রয়োগ করার উদ্দেশ্য বহন করে।