স্ত্রী গলাকাটা মরদেহের পাশেই স্বামী গুরুতর আহত, পুলিশের হেফাজতে মেয়ে

Any Akter
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ন, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১:২০ অপরাহ্ন, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় একটি বাসা থেকে গলাকাটা অবস্থায় রহিমা বেগম (৩৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তার স্বামী ইমরান হোসেনকে (৪২) গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর দম্পতির ১৬ বছরের মেয়েকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে কোনাবাড়ীর নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনের ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ও আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।

নিহত রহিমা বেগম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিনোয়াটি গ্রামের শাজাহান সরকারের মেয়ে। আহত ইমরান হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে কোনাবাড়ী এলাকায় ভাড়া থাকতেন। ইমরান পেশায় মাংস ব্যবসায়ী, স্ত্রী থাকতেন গৃহিণী হিসেবে।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে চেক বিতরণ

স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে দম্পতির বাসা থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে গিয়ে রহিমা বেগমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং ইমরান হোসেনকে অর্ধচেতনাবস্থায় হাত নাড়াচাড়া করতে দেখা যায়। তাকে দ্রুত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, দম্পতির মেয়েকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে দাবি করেছে— বাবা প্রথমে মাকে হত্যা করেন, এরপর নিজেই নিজের গলা কাটার চেষ্টা করেন। তবে তার বিবৃতি আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কাশিয়ানীতে শ্রেষ্ঠ ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ পেলেন রোকেয়া বেগম

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।