ঢাকার এত কাছে ভূমিকম্পের উৎস কেন জানুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেছেন, নোয়াখালী থেকে সিলেট অংশে যে বড় ফাটল রয়েছে, তারই একটি ছোট অংশ নরসিংদী। তাই নরসিংদী এলাকায় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
শুক্রবার সকালে যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, তার কেন্দ্র ছিল নরসিংদীর মাধবদী উপজেলা। আবহাওয়াবিদদের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের ভেতরে উৎপত্তি হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর একটি।
অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী জানান, বাংলাদেশের ভৌগোলিক গঠনে টেকটোনিক প্লেটের পাঁচটি প্রধান সোর্স রয়েছে। এর মধ্যে—নোয়াখালী থেকে কক্সবাজার, নোয়াখালী থেকে সিলেট, সিলেট থেকে ভারতের অভ্যন্তরভাগের দিকে বিস্তৃত আরেকটি অংশ রয়েছে।
তিনি বলেন, নোয়াখালী থেকে সিলেট, এই অংশে যে বড় ফাটল রয়েছে, তারই একটি ছোট অংশ নরসিংদী। এর ফলে নরসিংদী এলাকায় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন
ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করেন এমন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, এর আগে ঢাকার এত কাছে এ মাত্রার ভূমিকম্প উৎপত্তি হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে সিলেট ও নোয়াখালী অঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া বেশ কিছু ভূমিকম্প দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুভূত হয়েছে। তবে এবার নরসিংদীতে উৎপত্তিস্থল হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় কম্পন তুলনামূলকভাবে বেশি তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ভূমিকম্পের প্রকৃতি ও উৎপত্তিস্থল বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবিলায় নিরাপদ নগর পরিকল্পনা, ভবন কোড এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর আরও জোর দিতে হবে।





