মানবতাবিরোধী অপরাধ

পুলিশ একাডেমি থেকে ডিআইজির রহস্যজনক পলায়ন, দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আটক

Sanchoy Biswas
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:৩৯ অপরাহ্ন, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৬ অপরাহ্ন, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মানবতা বিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলায় দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির সারদা থেকে গ্রেফতারের সময় রহস্যজনকভাবে পালিয়ে গিয়েছেন ডিআইজি হাসান উল্লাহ। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ ও আইসিটির উচ্চ পর্যায়।

পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবতার বিরোধী অপরাধের অভিযোগে র‍্যাবের আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের সহযোগী সিআইডি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমানকে সিআইডি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি সূত্র জানায়, দুপুরের দিকে আইসিটির একটি প্রতিনিধির দল সিআইডি ঢাকা মেট্রো অফিস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: বিএমএ ‘হল অব ফেইম’-এ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধানের অন্তর্ভুক্তি

এদিকে পুলিশের আরেকটি দল জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় উত্তরা গণহত্যায় জড়িত উত্তরা ডিভিশনের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক এডিসি সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্র জানায়, ক্রসফায়ার ও বিচার বহির্ভূত হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বরিশালের সাবেক পুলিশ সুপার, বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে সাপ্লাই বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডিআইজি এহসানুল্লাহকে আটক করতে বুধবার সকালে পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায়। এসময় একাডেমিতে কর্মরত অবস্থায় তিনি রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যান। পুলিশ একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে সেনা ও নৌবাহিনীর ৯২,৫০০ সদস্য মোতায়েন থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপালকে কয়েক দফা ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পুলিশ সূত্র জানায়, আইসিটির প্রতিনিধিরা জেলা পুলিশের সহায়তায় বুধবার ভোর ছয়টায় সারদা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান। কিন্তু কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের পরিচয় জানা ও যোগাযোগের সুযোগ না দেওয়ায় ডিআইজি এহসানুল্লাহ খবর পেয়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি দিনভর রাজশাহীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।