রিটকারী ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, তীব্র সমালোচনা ও আইনি ব্যবস্থার দাবি

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:০৪ পূর্বাহ্ন, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:০৪ পূর্বাহ্ন, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা এক ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলী হোসেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্ট রিটের পর ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করলে আলী হোসেন তার ফেসবুক পোস্টে ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় হুমকি দেন।

এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা, সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার নিন্দা জানান।

আরও পড়ুন: আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, গুরুতর আহত এক পুলিশ সদস্য

ঢাবির সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, রিট করার জন্য কাউকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অধিকার কারও নেই। আলী হোসেনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি আরও জানান, যারা এ ধরনের মতামতের সঙ্গে একমত, তাদের তিনি ক্লাসে নেবেন না।


আরও পড়ুন: ওয়েস্টিন হোটেলে মার্কিন নাগরিকের রহস্যজনক মৃত্যু

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, রিটকারী নারী প্রার্থীকে লিগ্যালি ও পলিটিক্যালি মোকাবিলা না করে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া জঘন্য কাজ। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে দেওয়া যাবে না।

অভিযোগ উঠেছে, আলী হোসেন ছাত্রশিবিরের কর্মী। তবে এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে শিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ দাবি করেছেন, আলী হোসেন শিবিরের সঙ্গে জড়িত নন। একইসঙ্গে তিনি এ ঘটনার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারীর প্রতি সহিংসতা, বুলিং, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য বেড়ে গেছে। আমরা নারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও জিরো টলারেন্স নীতি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।

রিটকারী ছাত্রী বলেন, এই রিট ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য নয়। আমি চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যেখানে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি অভিযোগ করেন, রিট করার পর থেকেই তিনি ‘বট অ্যাটাক’ ও অনলাইনে ‘বুলিং’-এর শিকার হচ্ছেন।