ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে ছাত্রলীগ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফুরপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে গঠন করা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি অভিযোগের কিছু কিছু সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
৪ সদস্যের এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলীসহ সকল ধর্ষকের বিচারের দাবিতে নবাবগঞ্জে বিক্ষোভ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
ফয়সাল সিদ্দিকী জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রোববারই ছিল প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল আটক
এই কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তদন্তে কিছু কিছু বিষয়ে ফুলপরীর করা অভিযোগের সত্যতা উঠে এসেছে।
কোন কোন বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে জানতে চাইলে এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘প্রভোস্টের মধ্যস্থতায় মেয়েটি (ফুলপরী) হলে থাকার অনুমতি পাওয়া সত্বেও ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধূরী তাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে। তাকে তুলে নিয়ে গেছে এবং তার সাথে মিস বিহেব করেছে।’
এ ছাড়া সে সময় ফুলপরীকে 'বকাঝকা করা', 'মারার ভয় দেখানো' এবং সে ঘটনা ভিডিও করার সত্যতা পাওয়া গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর বাইরে তদন্ত কমিটিতে থাকা এক সদস্যও বলেন, 'সবার বক্তব্য শোনার পর মনে হয়েছে ঐ মেয়েটির (ফুলপরী) সঙ্গে যা ঘটেছে তা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ কে হলে উঠলো, কে থাকল- এসব মনিটরিং করা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাজ নয়।'
তদন্ত কমিটিতে থাকা ওই সদস্যের ভাষ্য, তারার 'নিরপেক্ষ' প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
৪ সদস্যের এই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুন্সি কামরুল হাসান (আহ্বায়ক), সহসভাপতি বনি আমিন ও রাকিবুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন।
এ বিষয়ে বর্তমানে পাবনায় অবস্থানরত ফুলপরী খাতুন জানান, ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি তার কাছে ঘটনার বিবরণসহ কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়েছিল। তিনি সেভাবেই তাদের জবাব দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদের ভাষ্য, ছাত্রলীগের এই তদন্ত কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ছাত্রলীগ যদি কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদনের কপি দেয়, তাহলে সেটা গ্রহণ করা হবে।