নূর আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার লন্ডারিং মামলা

Any Akter
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ন, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:১১ অপরাহ্ন, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেড এর মালিক নূর আলীসহ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং আইনে মামলাকরেছেন সিআইডি। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মিডিয়া জসিম উদ্দিন জানান মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের নামে ০২ বছরে ৩৭৮৭ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রতারণাপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় আদায় করে সহ দেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। লন্ডারিং এর বিষয়ে তদন্ত শেষে সোমবার ঢাকার  গুলশান থানায় মামলা নং-৫৮ ধারা- মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)/৪(৪) দায়ের করেছে সিআইডি।

আরও পড়ুন: শীশা বারে হত‍্যাকাণ্ডের জেরে চাঁদার হার দ্বিগুন করেছেন বনানী থানার ওসি

মানিলন্ডারিং অনুসন্ধানকালে জানা যায় ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেড এর মালিক নূর আলী ও তাহার জনশক্তি রপ্তানী প্রতিষ্ঠান ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেডসহ অপরাপর অভিযুক্তরা প্রেরণকৃত প্রতি কর্মীর নিকট হতে সরকার নির্ধারিত ফি ব্যতীত অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে।

আরও পড়ুন: এসপি হতে ৫০ লাখ টাকা ঘুষের অভিযোগে পুলিশ সুপারকে দণ্ড

অনুসন্ধানকালে আরও জানা যায়, অভিযুক্তরা বিগত ২০২২ খ্রি. হতে ২০২৪ খ্রি.পর্যন্ত ০২ বছরে সর্বমোট ৩ হাজার ৭৮৭ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় প্রেরণ করে। সরকারি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও নূর আলীসহ সংশ্লিষ্ট অপরাপর অভিযুক্তরা জনপ্রতি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে।

ভুক্তভোগী প্রতিজনের কাছ থেকে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ টেষ্ট, মেডিকেল ফি ও পোষাক সংক্রান্ত ফি এর নামে এসব অতিরিক্ত খরচ আদায়ের তথ্য পাওয়া যায়।

সংঘবদ্ধ চক্রটির ১৪ সদস্য পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণা করে সর্বমোট ৪০ কোটি ৭১ লক্ষ ৪০ হাজার ৩৭০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়। যা সুষ্পষ্টভাবে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী মানিলন্ডারিং অপরাধ।

বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ পরিচালনা করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপরাপর সদস্যদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।