কোল্ড স্টোরেজে ২৬-২৭ টাকায় আলু বিক্রি নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ ডিসিদের

আগামীকাল (বুধবার) ১ নভেম্বর থেকে সরকার নির্ধারিত দামে হিমাগারে সংরক্ষিত আলু বিক্রি নিশ্চিত করেতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর বিক্রয়মূল্য ২৬ থেকে ২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রি করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা
এ প্রেক্ষাপটে কোল্ড স্টোরেজ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার (৩০ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত একটি পত্র জারির মাধ্যমে সব জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। The Control of Essential Commodities Act-1956 এর ৩ (২) (ই) অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত
এতে বলা হয়, আলু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজ (হিমাগার) ও খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেকে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন। জনস্বার্থে আলুর বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে The Control of Essential Commodities Act-1956 এর ৩ (২) (ই) জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিতে তার জেলাধীন কোল্ড স্টোরেজসমূহ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা জেলা/উপজেলা পর্যায়ে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এক/একাধিক স্টোরেজ তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব অর্পণ করবেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয় করবেন।
এছাড়া ক্রেতাকে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রির পাকা রশিদ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বরে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রি করা হচ্ছে না।
জানা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, আড়ৎ থেকে তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে এ দামে বিক্রি করছে। অন্যদিকে আড়ৎদারদের দাবি, তারাও কোল্ড স্টোরেজ থেকে বেশি দামে কিনছে। তাদের কিছু করার নেই। সরকার নির্ধারিত দাম তারা মানছে না।