গ্রীন ইউনিভার্সিটির নিয়োগ বোর্ডে বিতর্কিত নিয়োগ, ঢাবি শিক্ষার্থীদের নিন্দা

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ন, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:০৬ পূর্বাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীনের অন্তর্ভুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।  মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষার্থী নির্যাতন ও আর্থিক অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে অধ্যাপক জামালের বিরুদ্ধে। তবুও তাকে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে রাখা শিক্ষাঙ্গনের মর্যাদার পরিপন্থী।

আরও পড়ুন: ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যাপক জামালের বিরুদ্ধে এর আগে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে

আরও পড়ুন: রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর, উত্তাল ক্যাম্পাস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলে কটূক্তি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ।

নারী কেলেঙ্কারি ও অনৈতিক ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড।

নাম্বার টেম্পারিং ও একাডেমিক মূল্যায়নে হস্তক্ষেপ।

সমাজবিজ্ঞান ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা আত্মসাৎ।

শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক বিব্রতকর কাজে বাধ্য করা এবং কিছু শিক্ষার্থীকে অনৈতিক সুবিধা প্রদান।

তাদের দাবি, “এই ধরনের কলঙ্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং শিক্ষার্থীদের দ্বারা বয়কটপ্রাপ্ত শিক্ষককে নিয়োগ বোর্ডে রাখা শিক্ষার্থীদের অধিকার ও শিক্ষাঙ্গনের মর্যাদাকে অপমানিত করে।”

এ ঘটনায় গ্রীন ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের বক্তব্যকে দায় এড়ানো উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যাপক জামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি মৌখিক পরীক্ষায় পরিচিত ও সমমনা প্রার্থীদের অনৈতিকভাবে অগ্রাধিকার দেন।

শিক্ষার্থীরা দুটি দাবি উত্থাপন করেছেন

১. অবিলম্বে এই নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বোর্ড গঠন করতে হবে।

২. ভবিষ্যতে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেন শিক্ষার্থীদের বয়কটপ্রাপ্ত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্ভুক্ত না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে

বিবৃতিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত সংশোধনমূলক পদক্ষেপের আহ্বান জানান।