রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর, উত্তাল ক্যাম্পাস

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১১ অপরাহ্ন, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন পিছিয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৬ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত কমিশনের জরুরি সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাবিতে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। কমিশন জানায়—

শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি।

আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক-কর্মকর্তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়া।

এসব বিবেচনায় নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে তারিখ পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে রাবিতে কর্মরতদের সন্তানদের জন্য থাকা ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা বাতিলের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষক-কর্মকর্তারা এ সুযোগ পুনর্বহালের দাবিতে একের পর এক আন্দোলন শুরু করেন।

১৭ সেপ্টেম্বর তারা আল্টিমেটাম দিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। পরে প্রশাসন ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিলেও শিক্ষার্থীরা এর বিরোধিতা করে টানা আন্দোলনে নামে।

এতে প্রশাসনিক ভবনে অবরোধ, শিক্ষক-অধ্যাপক লাঞ্ছিত হওয়া এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনে রাতভর বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটে। উত্তেজনাপূর্ণ এ পরিস্থিতির মধ্যেই শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়।

নির্বাচন পেছানোর দাবিতে সোমবার সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, রাকসু ফর র‍্যাডিকাল চেঞ্জ, সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ ও ইউনাইটেড ফর রাইটস প্যানেলের প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে। তারা বলেন, পোষ্য কোটা ইস্যুতে চলমান সংকটে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ২৫ সেপ্টেম্বরেই ভোট চান বলে জানান।

সোমবার বিকেল থেকে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে স্লোগান-প্রতিস্লোগানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পক্ষ দাবি তোলে নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচন করতে হবে, অন্য পক্ষ ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, মানব না’ বলে বিক্ষোভ করে।

নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।