কুমিল্লার ১০ পয়েন্ট দিয়ে ত্রিপুরায় ইলিশ পাচার, স্থানীয় বাজারে সংকট

কুমিল্লা সীমান্তের ১০টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ চাঁদপুরের ইলিশ পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতের ত্রিপুরায়। এতে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অন্যদিকে স্থানীয় ভোক্তারা ভরা মৌসুমেও ন্যায্যমূল্যে ইলিশ পাচ্ছেন না। অথচ কুমিল্লার বাজার থেকে কম দামে ইলিশ মিলছে ত্রিপুরার বিভিন্ন শহরে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিদিন চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর থেকে আসা ইলিশ কুমিল্লার আড়তগুলোতে পৌঁছালেও এর বড় অংশ কিনে নিচ্ছে চোরাকারবারি সিন্ডিকেট। সন্ধ্যার পর এসব মাছবাহী পিকআপ চলে যাচ্ছে সীমান্তের দিকে। সদর দক্ষিণের মথুরাপুর, যশপুর, মুড়াপাড়া, দলকিয়া, আদর্শ সদরের নিশ্চিন্তপুর, বড়জ্বালা, খাড়েরা, বুড়িচংয়ের তেলকুপি, ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদল, সংকুচাইল ও আশাবাড়ী সীমান্ত দিয়ে পাচার চলছে।
আরও পড়ুন: টয়লেট পরিচালনা প্রশিক্ষণে বিদেশ যাচ্ছেন ৩ কর্মকর্তা
স্থানীয়রা জানান, প্রতিরাতে বরফে মোড়ানো ইলিশ সীমানার ওপারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিনিময়ে দেশে ঢুকছে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা চোরাই পণ্য। এ কারণে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
স্থানীয় বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন, “যে পরিমাণ ইলিশ পাচার হচ্ছে, যদি এগুলো বাজারে থাকত তবে দাম অর্ধেক হয়ে যেত।” সীমান্তের অপর পাশের লোকজনও জানাচ্ছেন, ত্রিপুরার বাজারে ৮–৯শ রুপি কেজি দরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩৯ পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি
এ বিষয়ে কুমিল্লা ডিবির ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, সীমান্ত দিয়ে ইলিশ পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে, তাই নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে কুমিল্লা-১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অভিযান চালানো হবে।