জুলাই-বিপ্লববিরোধী ভূমিকার অভিযোগে ৩০ শিক্ষক-কর্মকর্তা বরখাস্ত
 
                                        বিগত স্বৈরশাসক হাসিনার পতনের সময় জুলাই-আগস্ট বিপ্লববিরোধী ভূমিকা রাখার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লববিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক ও ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরবিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কার এবং ইতোমধ্যে ডিগ্রি সম্পন্নকারীদের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জবি ছাত্রদলের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নির্ধারণে একটি শাস্তি নির্ধারণ কমিটি গঠন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এর আগে গত ১৫ মার্চ আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি, লিখিত অভিযোগ, ভিডিওচিত্র এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিটি অভিযুক্তদের বিপ্লববিরোধী ও দমনমূলক কার্যকলাপে সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: বোরকা–হিজাব পরায় এক নারী শিক্ষার্থীকে থুতু নিক্ষেপ ও শারীরিক হেনস্থা
কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। সবশেষ সিন্ডিকেট সভায় প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, অর্থনীতি, বাংলা, ইংরেজি, আইন, আইসিটি, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, হিসাববিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিভাগের মোট ৩০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মার্কেটিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, ইংরেজি, সমাজকল্যাণ, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, আরবি, চারুকলা এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেক শিক্ষার্থী বলেন, বিপ্লববিরোধী কর্মকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও উসকানিদাতারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে এবং প্রমাণ মিললে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





 
                                                    
 
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                    