দেশে প্রথমবারের মতো শিশুদের টাইফয়েডের টিকা দেবে সরকার

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৩:২২ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর শিশু টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। দেশের ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশু এই টিকা পাবে। ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

ইপিআই প্রগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘যেসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা নিতে পারবে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে সাতজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৭

এ ক্ষেত্রে মা-বাবার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কর্মদিবস স্কুলে ক্যাম্প করে শিক্ষার্থীদের টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। স্কুল ক্যাম্পেইন শেষ হলে আট দিন ইপিআই সেন্টারে স্কুলে না যাওয়া শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।’

টিকা পেতে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv-এ নিবন্ধন করতে হবে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১ মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৬৩৩

নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করলে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড পাওয়া যাবে।

ইপিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, এক ডোজের ইনজেকটেবল এই টিকা তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। ভ্যাকসিনটি এসেছে গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড জ্বর হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এর উপসর্গ হলো দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামান্দ্য এবং কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো ডায়রিয়া। উপসর্গগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে অন্য জ্বরজনিত রোগ থেকে আলাদা করা কঠিন হয়।

গ্যাভি সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। এটি শতভাগ নিরাপদ।

পৃথিবীর অনেক দেশে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও আগে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কভিডের আগে টাঙ্গাইলে পাইলট প্রকল্পে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর সরকার গ্যাভিকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানায়। আগে দেশে এই ভ্যাকসিন বেসরকারি পর্যায়ে কিনে দেওয়া হতো, এবার সরকার বিনা মূল্যে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি শিশুকে দেবে।