আসামের ১১ জেলায় বন্যা, দুর্ভোগে ৩৪ হাজার মানুষ
টানা বৃষ্টিতে আসামে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় ১১টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ।
অবিরাম বৃষ্টিতে প্রতিদিন আসামের ১১টি জেলার নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
ব্রহ্মপুত্র নদ ও আরও কয়েকটি নদনদীর পানি বাড়তে থাকায় রাজ্যটির বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাজ্যটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ ও আরও কয়েকটি নদনদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের নতুন সামরিক ঘাঁটি চালু
ইতোমধ্যে আসামের বিশ্বনাথ, দরং, ধেমাজি, লিখমপুর, ডিব্রুগড়, তামুলপুরসহ ১১টি জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার কারণে এসব জেলার ৩৪ হাজার ১৮৯ জন বাসিন্দা ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাদের মধ্যে ১৪ হাজার ৬৭৫ জন নারী ও ৩ হাজার ৭৮৭ জন শিশু।
বন্যা কবলিত মধ্যে লখিপুর জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষই ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী এই জেলাটির বাসিন্দা। এখানে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ২৩ হাজার ৫১৬ জন।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে ১১টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে তার ৮টি লখিমপুর জেলায়। উদালগুড়িতে আরও ২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।
আসামের দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী জানিয়েছে, ৭৭টি গ্রামের ২১০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। দিমা হাসাও ও কামরূপ জেলায় প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরও বড় ধরনের বন্যার কারণে আসামের বহু মানুষ দুর্ভোগে পড়েছিল।





