ইরানের হামলার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন নেতানিয়াহু

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ন, ১৩ জুন ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, ১৬ জুন ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইরানে ভয়াবহ হামলা করেছে ইসরাইল। এতে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে তেহরান। এবার সেই ভয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে একটি অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি গণমাধ্যম। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গ্রিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর ইরনা নিউজের।

ইসরাইলের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম নেতানিয়াহুর বিমানের একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায়, দুটি যুদ্ধবিমান তার বিমানের সঙ্গে ছায়াসঙ্গীর মতো রয়েছে এবং সেটি ইসরাইল অধিকৃত অঞ্চল ছেড়ে অজ্ঞাত গন্তব্যে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে রায় আন্তর্জাতিক আদালতের, স্বাগত জানাল পাকিস্তান

পরবর্তীতে চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, সেই বিমানটি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবতরণ করেছে।

শুক্রবার ইসরাইল রাজধানী তেহরানসহ ইরানের একাধিক শহরে ব্যাপক সামরিক হামলা চালায়। এসব হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৬৯ জন নিহত, মোট প্রাণহানি ৬০ হাজার ছাড়াল

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর চিফ কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদর দফতরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলামআলি রাশিদ।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানের সামরিক বাহিনী প্রতিশোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র।

ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ‘লক্ষ্যভিত্তিক হত্যা’ ও আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের হামলাকে ‘চমৎকার’ হিসেবে প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে এখনো একটা চুক্তির সুযোগ আছে, না হলে দেশের অস্তিত্বই শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরাইলকে কঠোর সতর্কতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরানের ওপর হামলা চালিয়ে শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও ছয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী হত্যার ‘অপরাধের’ জবাবে ইসরাইলকে ‘কঠোর শাস্তি’ ভোগ করতে হবে।

দুইজন মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা এপি নিউজকে জানিয়েছেন, ইরানের ওপর ইসরাইলের হামলার পর এবং তেহরানের সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সম্পদ, বিশেষ করে যুদ্ধজাহাজ স্থানান্তর করছে।