গাজায় ‘যুদ্ধবিরতি’র মধ্যেও ইসরাইলি হামলায় নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি
গাজায় মার্কিন-বৈচিত্র্যপূর্ণ যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবারের এই হামলায় আরও কমপক্ষে ৭৭ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ১২৮
আল জাজিরার হানি মাহমুদ জানান, ইসরাইল দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকা, গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলের শুজাইয়া জংশন এবং জেইতুন এলাকায় হামলা চালায়। জেইতুনের একটি বাড়িতে এক পরিবারের পাঁচ সদস্য—পিতা, মাতা এবং তিন সন্তান—একসঙ্গে নিহত হন।
তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিরা নতুন আতঙ্কের মুখোমুখি হচ্ছেন। বাস্তবে যুদ্ধবিরতি নেই—বোমাবর্ষণ চলছেই।
আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল
ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করে, খান ইউনিসে সৈন্যদের ওপর হামলার জবাবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা শক্ত হাতে প্রয়োগ অব্যাহত রাখব।
তবে হামাস এটিকে মিথ্যা অজুহাত বলে প্রত্যাখ্যান করে। তাদের বক্তব্য, ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গণহত্যা পুনরায় শুরু করতে চায়।
আল জাজিরার নুর ওদেহ বলেন, ইসরাইল নিজেই বিচারক, জুরি ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারীর ভূমিকায়। যুদ্ধবিরতি মানা হচ্ছে কিনা—তার সিদ্ধান্তও এখন ইসরাইলই নিচ্ছে।
লেবাননে হামলা
গাজায় বোমাবর্ষণের পাশাপাশি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলেও ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবারের এক বোমা হামলায় একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ১২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের শান্তি পরিকল্পনার মধ্যেই বড় হামলা
কয়েকদিন আগেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গাজার জন্য একটি শান্তি উদ্যোগ অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে “আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী” মোতায়েনের প্রস্তাবও রয়েছে।
কিন্তু হামাস, ফিলিস্তিনি সংগঠন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো এটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, এটি ফিলিস্তিনের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং ইসরাইলকে আরও ক্ষমতাসীন করবে।
বিশ্লেষক খালেদ এলগিন্ডি বলেন, এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বড় পরীক্ষা। যদি যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নীরব থাকে, তবে যুদ্ধবিরতির নামে যুদ্ধই চলবে।
আল জাজিরার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কমপক্ষে ৩৯৩ বার লঙ্ঘন করেছে।





