শীত আসছে, এখনই শুরু করুন নিজের যত্ন!
শীতকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা আবহাওয়া, ছোট দিন ও কাজের চাপ আমাদের শরীর ও মন দুটোর ওপরই প্রভাব ফেলে। তবে কিছু সহজ ও সচেতন অভ্যাস গড়ে তুললে পুরো শীতকাল জুড়ে নিজেকে সুস্থ, সতেজ ও উজ্জীবিত রাখা সম্ভব। শীত আসার আগেই নিচের বিষয়গুলো অভ্যাসে আনলে ঠান্ডা মৌসুমেও আপনি থাকবেন প্রাণবন্ত ও ফিট।
১. মানসম্মত ঘুম নিশ্চিত করুন
আরও পড়ুন: অফিসে টক্সিক সহকর্মী থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ৫ উপায়
শীতের দিনে দীর্ঘ রাত ঘুমানোর প্রবণতা থাকলেও মানসম্মত ঘুমের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। প্রতিদিন ৭–৯ ঘণ্টা ঘুমের লক্ষ্য রাখুন। ঘুমের সময় নির্দিষ্ট রাখুন এবং ঘরের তাপমাত্রা ১৫–১৯° সেলসিয়াস (৬০–৬৭°F) রাখলে ঘুম আরও আরামদায়ক হয়। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
২. হাইড্রেটেড থাকুন
আরও পড়ুন: কোন ডিমটি বেশি উপকারী? জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত
ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই পানি পান করতে ভুলে যান, কিন্তু শীতে ডিহাইড্রেশনও একটি সাধারণ সমস্যা। শুষ্ক বাতাসে ত্বক ও ঠোঁট ফেটে যায়, শরীরও ক্লান্ত বোধ করে। তাই সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। চাইলে উষ্ণ ভেষজ চা বা লেবু-পানি পান করতে পারেন, যা শরীর গরম রাখার পাশাপাশি হাইড্রেটেডও রাখবে।
৩. ত্বক আর্দ্র রাখুন
শীতের বাতাস ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে। প্রতিদিন গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার, বডি অয়েল বা হাইড্রেটিং লোশন ব্যবহার করুন। ঠোঁট ও হাতের যত্ন নিতে লিপ বাম ও হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ করলে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়।
৪. ভিটামিন ‘ডি’ এর যত্ন নিন
শীতে সূর্যের আলো কম পাওয়া যায়, যার ফলে ভিটামিন ডি-এর অভাব ও মনমেজাজ খারাপের প্রবণতা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০–১৫ মিনিট রোদে হাঁটুন বা জানালার পাশে বসে সূর্যের আলো গ্রহণ করুন।
সূর্য কম পাওয়া অঞ্চলে থাকলে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. পুষ্টিকর খাবার খান
শীতে ভারী ও তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়, কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখতে দরকার সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা। মিষ্টি আলু, গাজর, বাঁধাকপি, মুলা, কচি শাকসবজি ও মৌসুমি ফল খেতে পারেন। উষ্ণ স্যুপ ও সবজি স্টু শরীর গরম রাখে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। শীত মানেই ক্লান্তি বা অলসতা নয়। একটু পরিকল্পনা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ঘুম ও ত্বকের যত্ন নিলেই শীতের সময়টাও হতে পারে সুস্থ ও প্রাণবন্ত জীবনযাপনের ঋতু।





