সন্তান নেওয়ার আগে যাচাই করুন ৫টি জরুরি প্রশ্ন
বাবা-মা হওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যক্ষভাবে কেবল একটি জীবনঘটনা নয়—এটি দীর্ঘমেয়াদি দায়িত্ব। পরিবারের চাপ বা সামাজিক প্রত্যাশায় নিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনেকসময় সম্পর্ক ও সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সমস্যা তৈরি করে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যক্তিগত ইচ্ছা, শারীরিক ও আর্থিক প্রস্তুতি, এবং অভিভাবকদের সমন্বয় যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি।
দাম্পত্য জীবনের প্রথম বছরগুলিতে অনেকে দ্রুত সন্তান নেওয়ার কথা ভাবেন; পরিবারের প্রবীণ সদস্যরাও প্রভাব ফেলতে পারেন। কিন্তু সন্তান জন্ম দেওয়া সহজ হলেও তাকে সঠিকভাবে বড় করা—শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানসিক সুস্থতা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা—এগুলো এক আজীবন প্রতিশ্রুতি। তাই নিচের পাঁচটি প্রশ্নের সোজা উত্তর খুঁজে নিন: আপনি কি সত্যিই স্বেচ্ছায় সন্তানের জন্য প্রস্তুত? সম্পর্ক ও আর্থিক পরিস্থিতি কি সহায়ক? স্বাস্থ্য ও কর্মজীবনকে কিভাবে ম্যানেজ করবেন? এসবের বাস্তব মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে ঝামেলা কম হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন কোন খাবারে লুকিয়ে আছে হৃদরোগের ঝুঁকি
বাবা-মা হওয়ার আগে মাথায় রাখার ৫টি জরুরি বিষয়
১) সম্পর্কের ভিত্তি কতটা দৃঢ়?
আরও পড়ুন: শীতে কেন বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি? আগেই মিলতে পারে বিপদের সঙ্কেত
সন্তানকে সম্পর্কের সমস্যা মেটাতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। আগে সম্পর্ক শক্ত করে নিন।
২) চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নয়
গতিশীল সিদ্ধান্ত নয় — পরিবার বা সমাজের কথায় নয়; দু’জনে মিলে খোলাখুলি সিদ্ধান্ত নিন।
৩) শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করুন
প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল চেকআপ করুন; চিকিৎসকের নির্দেশমতো জীবনযাপন শুরু করুন।
৪) আর্থিক পরিকল্পনা
শিশুর লালন-পালন ও শিক্ষা সহ ভবিষ্যৎ খরচের সম্ভাব্য ব্যয় পরিকল্পনা করুন; সঞ্চয় ও বাজেট তৈরি করুন।
৫) কর্মস্থলে গেলে সন্তানের দেখাশোনা
যদি উভয়ই কর্মজীবী হন—সন্তানের দেখাশোনার ব্যবস্থা, দায়িত্ববণ্টন ও বিকল্প যত্নের পরিকল্পনা আগেই নিশ্চিত করুন।
সন্তান মানে দায়িত্বের পরিধি শতগুণ বেড়ে যায়—সেই ভার আপনি দু’জনে মিলে বহন করার মানসিক ও বাস্তব প্রস্তুতি আছে কি না, সেটা যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিন। পরিকল্পনা ও খোলামেলা আলোচনা থাকলে বাবা-মা হওয়া হবে একটি আনন্দঘন ও সার্থক যাত্রা।





