শীতে কেন বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি? আগেই মিলতে পারে বিপদের সঙ্কেত
শীত এলেই বাড়তে থাকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। চিকিৎসকেরা বলছেন, হৃদ্রোগ রাতারাতি ঘটে না—হার্ট তার ছন্দ হারানোর সঙ্কেত আগেই দেয়। কিন্তু ঠান্ডার সময়ে রক্তনালি দ্রুত সঙ্কুচিত হওয়ায় বিপদ আরও তাড়াতাড়ি আঘাত হানতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের কড়াকড়িতে বয়স্ক ও আগেই হৃদ্রোগে ভোগা মানুষদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: জেনে নিন কোন খাবারে লুকিয়ে আছে হৃদরোগের ঝুঁকি
হার্ট বিশেষজ্ঞ ডা. সুশান্ত মুখোপাধ্যায় জানান, সুস্থ মানুষের হার্ট প্রতি মিনিটে ৬০–৮০ বার পাম্প করে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত পৌঁছে দেয়। এই ছন্দ বজায় রাখে সাইনাস নোড বা হার্টের নিজস্ব পেসমেকার। কিন্তু নানা কারণে এই বৈদ্যুতিক স্পন্দনে সমস্যা দেখা দিলেই হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতে গলা–বুকের অস্বস্তি কমাতে যেসব মসলা কার্যকর
শীতে কেন হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে?
- ঠান্ডায় রক্তনালি সঙ্কুচিত হয়
- রক্তচাপ দ্রুত বেড়ে যায়
- রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় হার্টবিটের ছন্দে পরিবর্তন আসে
- দেখা দেয় বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট, মাথাঘোরা, চোখে অন্ধকার দেখা ইত্যাদি উপসর্গ
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস বা আগেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত মানুষদের জন্য এটি আরও বিপজ্জনক। অত্যধিক কায়িক পরিশ্রম বা মানসিক চাপও পরিস্থিতি জটিল করতে পারে।
কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
- হঠাৎ হার্টবিট মিনিটে ৫০-এর নিচে নেমে যাওয়া
- বুক ধড়ফড় করা
- শ্বাসকষ্ট
- ঘন ঘন অম্বল বা বুক জ্বালা
- বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, গ্যাস-অম্বলের ব্যথার সঙ্গে হার্টের ব্যথার পার্থক্য করা কঠিন। তাই নিজে থেকে অ্যান্টাসিড খেয়ে বসা বিপজ্জনক হতে পারে।
কীভাবে শীতে হার্টকে সুরক্ষিত রাখবেন?
- প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে ১৫ মিনিট হাঁটা
- খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মানা
- রাতে দেরি করে না জাগা
- ধূমপান থেকে বিরত থাকা
- মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন
- ওজন, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা
আগে থেকে কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন?
- ইসিজি
- ইকোকার্ডিওগ্রাফি
- করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি
- ইপি স্টাডি
চিকিৎসকেরা বলছেন—হার্টের ছন্দে বদল এলে দেরি না করে চিকিৎসা নেওয়াই জীবনের জন্য নিরাপদ।





