উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: প্রাইভেটকার থেকে ৫ লাশ উদ্ধার, প্রধানমন্ত্রীর শোক

রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ক্রেন থেকে ছিটকে যাওয়া গার্ডারের চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৫০ বছর বয়সী রুবেল, ২৮ বছর বয়সী ঝরনা, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া। নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। যে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়া মনি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে একাধিক বৈঠক করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকালে উত্তরার জসীম উদ্দীন এলাকার আড়ংয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
এই হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক শোক বার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মরহুমদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান; এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এই ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন-মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার, সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান এবং ডিএমপির এডিসি মনজুর মোর্শেদ।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারি কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, নিহতরা সবাই একটি টয়োটা গাড়িতে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার ক্রেন দিয়ে সরানোর সময় গাড়ির ওপর পড়ে। প্রাইভেট কার থেকে মোট সাত জনের মধ্যে দুই জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আরও চারজন ভেতরে চাপা পড়ে রয়েছেন।
জানতে চাইলে বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। ক্রেন বিপর্যয়ের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে শুনেছি।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোলরুম থেকে কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, ক্রেন দিয়ে গার্ডার ওঠানোর সময় প্রাইভেটকারের উপর পড়ে গেলে ছয়জন আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে বলে তিনি জানান।