পানিতে ডুবে সাড়ে ছয় মাসে ৫১৬ জনের মৃত্যু

তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পালিত হচ্ছে ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ’ দিবস। ২০২১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে ‘নীরব মহামারি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতি বছর ২৫ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।
পানিতে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা করল সরকার
এদিকে চলতি বছরের (২০২৩) ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে সাড়ে ছয় মাসে ৫১৬ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০৩ জনই শিশু, অর্থাৎ ৯৭ শতাংশ শিশু।
গণমাধ্যম ও যোগাযোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনটি করা হয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত পানিতে ডুবে মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত নিয়ে। এতে সহযোগিতা করে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। সোমবার (২৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সমষ্টি।
আরও পড়ুন: সাহসিকতা ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিতে পদক পাচ্ছেন ৬ পুলিশ কর্মকর্তা
এতে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৭ জুলাই পর্যন্ত পানিতে ডুবে মৃত্যুর একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী গত সাড়ে তিন বছরে পানিতে ডুবে মোট তিন হাজার ৮০১ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে তিন হাজার ৩৬৩ জন শিশু (৮৮ শতাংশ), অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছরের কম। পারিবারিক সদস্যদের অগোচরে এসব শিশুরা বাড়ির কাছের জলাশয়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি ২০২১ সালের আগস্টে ২১২ জন মারা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের সাড়ে ছয় মাসে পাঁচ বছরের কম বয়সী মোট ২৭৩ জন শিশু মারা গেছে। ৫-৯ বছরের শিশু রয়েছে ১৭৫ জন। মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে ১০-১৪ বছর বয়সী ৪২ জন ও ১৫-১৮ বয়সী আটজন রয়েছে। গত সাড়ে ছয় মাসে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মোট ১৩ জন মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, চলতি বছর পানিতে ডুবে জানুয়ারি মাসে ১৬, ফেব্রুয়ারিতে ৪০, মার্চে ৬১, এপ্রিলে ১০৭, মে-তে ৮৮, জুনে ৯৮ এবং জুলাই মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ৯৬ জন মারা গেছেন।