ট্রাফিক পুলিশের মামলা ও হয়রানীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ন, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ১:৫৪ অপরাহ্ন, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ট্রাফিক পুলিশেরদেওয়া মামলা ও হয়রানীর   প্রতিবাদে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এত করে ওই পথে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ ও তেজগাঁও পুলিশের অনুরোধে রাস্তা থেকে সরে যায় শ্রমিকরা।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল লাভ রোড এলাকায় দেখা যায়, বিজয় সরণি থেকে ফ্লাইওভার হয়ে যানবাহন বামে টার্ন করলেও সামনে যানজট। আবার ডানের মগবাজার সাতরাস্তা অভিমুখে রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ যানজটে। অন্যদিকে মহাখালী থেকে আসা লেনও স্থবির।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘে একাধিক বৈঠক করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়

লাভ রোডে কর্তব্যরত ট্রাফিক সদস্যরা জানান, মহাখালী বাস টার্মিনানের সামনে শ্রমিকদের অবস্থানের কারণে সড়কে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান।

তিনি বলেন, পরিবহন শ্রমিকরা মহাখালী বাস টার্মিনার সামনে রাস্তা অবরোধ করেছিল। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হওয়ার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী শামীম গণমাধ্যমকে জানান, ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে অনর্থক মামলা করার অভিযোগ এনে মহাখালী বাস টার্মিনালে সামনের দুই সড়ক বন্ধ করে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এতে করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি নিজেসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটস্থলে উপস্থিত হই। শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া অবগত হয়ে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী কমিশনার জুনায়েদ জাহেদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে রাস্তা বন্ধ করে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সেটার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে শ্রমিকরা। পরে তাদের সড়কের পরিস্থিতি ও জনভোগান্তির বিষয় বিবেচনায় অনুরোধ করা হলে শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যায়। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক।