আদালত প্রাঙ্গণে ধাওয়ায় জুতা ফেলেই দৌড় দিলেন মমতাজ

হত্যা মামলায় আটক রিমান্ড শুনানিতে আদালতে হাজিরের সময় বিক্ষুব্ধ জনতার ধাবায় জুতা ফেলেই দৌড় দেন শিল্পী মমতাজ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে মমতাজকে আদালতে আনা হয়। মমতাজ বেগমের আসার খবরে এরপরেই আদালতে সৃষ্টি হয় তীব্র উত্তেজনা। কঠোর নিরাপত্তা দিয়েও ধাক্কাধাক্কি আর আইনজীবীদের রোষানল এড়ানো যায়নি।
আরও পড়ুন: অসহায় পরিবারের দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা ও অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান
শুনানির সময় তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে তোলা হয়। এ দিন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ফের আদালত জুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
কড়া নিরাপত্তা দিয়ে পুলিশ সদস্যরা মমতাজ বেগমকে নিয়ে যাওয়ার সময় আইনজীবীদের ধাক্কাধাক্কিতে ও হুড়োহুড়িতে পড়েন। এসময় মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেট প্রুভ জ্যাকেট পরিয়ে হাজতখানায় নেওয়া হয়। মমতাজ পুরোটা সময় জুড়ে মাথা নিচু করে হাঁটছিলেন। তবে একপ্রকার দৌড়ে নিয়ে যাবার সময় নিজের পায়ের জুতা খুলে যায় মমতাজের।
আরও পড়ুন: তিন দিনের সফর শেষে কুয়ালালামপুর থেকে দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূস
হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পর হাজতখানার গেটের সামনে তার জুতা জোড়া পড়ে থাকতে দেখা যায়। পড়ে থাকা জুতো জোড়ার সঙ্গে মমতাজ বেগমের গ্রেপ্তারের পরে ডিবি অফিসে তোলা ছবিতে পায়ে থাকা জুতার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।
এদিকে জুতা হারানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ উপপরিদর্শক কামরুর ইসলাম বলেন, আসামিকে হাজতখানা থেকে পাঠানো হয়েছে। তার পায়ে জুতা ছিল কিনা তা খেয়াল করিনি। হুড়োহুড়ির ভেতর জুতা হারানোর বিষয়টি আমার জানা নেই।