১১ দফা দাবিতে পরমাণু শক্তি কমিশনে গণজমায়েত

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ন, ২৮ মে ২০২৫ | আপডেট: ৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও কর্তৃত্ববাদী আচরণের প্রতিবাদে কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ ১১-দফা দাবিতে গণজমায়েতে করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

বুধবার (২৮ মে) বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এ গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হঠাৎ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তোলপাড়

জানা যায়,  বিগত ২২ এপ্রিল ২০২৫ থেকে অবস্থান কর্মসূচি, গণস্বাক্ষর গ্রহণ, কালো ব্যাজ ধারণ এবং সর্বশেষ ০৪ মে ২০২৫ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে ১৬১৩ জনের স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি দাখিল করা হয়। দাখিলকৃত স্মারকলিপিতে কমিশনের বিদ্যমান সমস্যাসমূহ তুলে ধরা হয় এবং এ সকল সমস্যার যৌক্তিক সমাধানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। উক্ত স্মারকলিপিটি গত ১৪ মে ২০২৫ তারিখে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবের দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয় বরাবর প্রেরণ করা হলেও অদ্যাবধি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কোনরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। দেশের সর্ববৃহৎ এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা নিরসনে কর্তৃপক্ষের এহেন উদাসীনতা প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষুব্ধ এবং দেশের বিজ্ঞান সচেতন সমাজকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।

সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ না নিয়ে মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং কর্তৃত্ববাদী আচরণের মাত্রা আরও বেড়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, গত ১৩ মে ২০২৫ তারিখে অপ্রত্যাশিতভাবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পত্র দিয়ে কমিশনকে জানানো হয় যে, আইবাস সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত না হলে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে বাপশক-এর অনুকূলে সরকারের আর্থিক সহায়তা বন্ধ রাখা হবে। এছাড়াও কমিশনকে আর্থিকভাবে দূর্বল করার জন্য আমদানিকৃত সকল খাদ্যপণ্যে বাধ্যতামূলক তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা বন্ধ করার মতো আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নেয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কমিশনের সবচেয়ে জনবান্ধব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিউক্লিয়ার মেডিসিন ও অ্যালাইড সায়েন্সেস থেকে স্বল্প মূল্যে আল্ট্রাসাউন্ড টেস্ট বন্ধ করারও পাঁয়তারা চলছে। মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ ধরনের নানা জটিলতা সৃষ্টি করার মাধ্যমে সকল স্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে গভীর ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে রাত ৯টা থেকে ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু

আন্দোলনকারীরা জানান, সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোন উদ্যোগ না নিয়ে বিভিন্ন ধরণের উস্কানি প্রদানের মাধ্যমে কমিশনের সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের চলমান আন্দোলনের সুশৃঙ্খল কর্মসূচী থেকে বেরিয়ে এসে বিশৃঙ্খল সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার অপচেষ্টা বলে আমরা মনে করি। আমরা আশা করি সরকার দ্রুত যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১১দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের কর্মসূচী চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।