মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় যুবদলের দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থার আহ্বান
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদলের কেন্দ্রীয় এবং মহানগর দক্ষিণের দুই নেতাকে সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকে প্রকাশ্য দিবালোকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে।
আরও পড়ুন: বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে প্রধান উপদেষ্টার দোয়া কামনা
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সংগঠনের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, অভিযুক্ত দুই নেতাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বহিষ্কৃতদের কোনো অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না।
যুবদলের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখেন।
আরও পড়ুন: আমিরাতে বন্দি বাকি ২৪ বাংলাদেশি অচিরেই মুক্তি পাচ্ছেন
এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ করে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উক্ত বিষয়ে যেন কোনো ধরনের শৈথিল্য না দেখানো হয় এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং আইনের আওতায় এনে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





