উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত: ২৫ শিশুসহ নিহত ২৭, চিকিৎসাধীন ৭৮

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ন, ২২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৬:০২ পূর্বাহ্ন, ২২ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট এবং একজন শিক্ষিকাও রয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭৮ জন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি দুইজন রোগী বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন বলে জানান ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি আরও বলেন, “আহতদের চিকিৎসায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ভোর পাঁচটার দিকে ৯ বছরের শিশু বাপ্পি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

এর আগে, রাত সোয়া ৩টার দিকে আরও চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়—এরিকসন (১৩), আরিয়ান (১৩), নাজিয়া (১৩) ও সায়ান ইউসুফ (১৪)। তাদের দেহে ৮৫% থেকে ১০০% পর্যন্ত দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে।

রাত একটার দিকে আরও কয়েকজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ডা. শাওন। তারা হলেন—অষ্টম শ্রেণির তানভীর আহমেদ, সপ্তম শ্রেণির আফনান ফাইয়াজ, প্রাইমারি সেকশনের হেড কো-অর্ডিনেটর মাহেরীন চৌধুরী এবং ষষ্ঠ শ্রেণির আব্দুল্লাহ সামিন। বর্তমানে ৪১ জন বিভিন্ন ওয়ার্ড ও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরও পড়ুন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি

তবে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) রাত দেড়টার হালনাগাদ তথ্যে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২০। তাদের মধ্যে আটজনের মরদেহ শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৭১ জন, যাদের মধ্যে অনেকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উল্লেখ্য, দুপুরে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনের ওপর বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় স্কুল ভবনের শ্রেণিকক্ষে শিশুদের ক্লাস চলছিল, ফলে প্রাণহানির সংখ্যা এত বেশি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।