প্রযুক্তি ব্যবহারে বাস্তবতা যাচাই জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, স্মার্ট জলবায়ু বা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নিয়ে আমরা প্রায়ই আলোচনা করি, কিন্তু সেগুলোর বাস্তব প্রয়োগযোগ্যতা উপকূলীয় জনগোষ্ঠী ও মৎস্যজীবীদের জন্য কতোটা কার্যকর—তা গভীরভাবে যাচাই করা জরুরি। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহারে বাস্তবতা যাচাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হাইটসে আয়োজিত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল: “বাংলাদেশের জন্য ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিট্রফিক অ্যাকুয়াকালচার (আইএমটিএ) প্রযুক্তির উপযোগিতা বিশ্লেষণ, প্রজাতির ভ্যালু চেইন স্টাডি, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক খাতের দ্রুত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও পরিবেশ ও জলবায়ু প্রভাব মূল্যায়ন।”
আরও পড়ুন: বাধ্যতামূলক অবসরে ডিএমপির সাবেক ৯ ওসি
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ভুলভাবে মনে করি উপকূলীয় জনগণ বা মৎস্যজীবীরা প্রযুক্তি বোঝেন না। প্রকৃতপক্ষে, তাদের প্রথাগত জ্ঞানের মধ্যেও এমন অনেক বিষয় আছে, যা থেকে আমাদের শেখার রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে নানা চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নারীদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নসহ টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, এশিয়া-আফ্রিকা ব্লুটেক সুপারহাইওয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকারের ব্লু প্লানেট ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: হাসিনার প্রিজম দিয়ে বাংলাদেশকে দেখায় ভারতকে মূল্য দিতে হচ্ছে
আইএমটিএ প্রযুক্তিকে বাংলাদেশে একটি নতুন ধারণা উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, “এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নে আমাদের যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। এটি সফল করতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য অধিদপ্তর, ওয়ার্ল্ডফিশ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় একযোগে কাজ করছে।” তিনি আরও বলেন, “আইএমটিএ প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত সামুদ্রিক সম্পদ যেমন সিউইড, সবুজ ঝিনুক ইত্যাদির বাজারজাতকরণে সরকারি-বেসরকারি খাতকে উদ্যোগ নিতে হবে।”
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভক্ত এবং মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. এস. এম. রেজাউল করিম। গবেষণা উপস্থাপন করেন ড. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য গবেষকরা।
অনুষ্ঠানে নীতিনির্ধারক, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বেসরকারি খাত ও একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. ফারুক-উল ইসলাম।