মন্ত্রী-এমপিদের প্লট দিতে গিয়ে রাজউক ক্ষতির মুখে: পরিবেশ উপদেষ্টা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৭ অপরাহ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৪৭ অপরাহ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অভিযোগ করেছেন, মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালীদের প্লট বরাদ্দ দিতে গিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পরিবেশ ও জনস্বার্থে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন “একটি টেকসই জীবন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর তাপের প্রভাব” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: সিও ক্লোজড, বাবুর্চি সুইপারসহ কক্সবাজার র‌্যাবে গণবদলি

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বনভূমি কেটে প্লট করা হয়েছে। এমনকি রাজউক যখন ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) করে, তখন ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থে এর বিরোধিতা করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাড়তে থাকা তাপমাত্রা এখন শুধু গবেষণার বিষয় নয়, বরং দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনের বাস্তবতা। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব বাংলাদেশে সবচেয়ে তীব্র আকারে দেখা দিচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

আরও পড়ুন: আমিরাতে বন্দি বাকি ২৪ বাংলাদেশি অচিরেই মুক্তি পাচ্ছেন

পরিবেশ উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, “শুধু গবেষণা প্রতিবেদনে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, বরং সুপারিশগুলোকে সময়সীমাবদ্ধ কর্মপরিকল্পনায় রূপ দিতে হবে। প্রতিটি সংস্থার দায়িত্ব নির্দিষ্ট করতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”

নগর পরিকল্পনার দুর্বলতাকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাপদাহ মোকাবিলায় নগর পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা জরুরি। আমাদের দরকার কম কংক্রিট, বেশি সবুজায়ন, কার্যকর গণপরিবহন, ছাদ বাগান এবং ভূমি-ব্যবহার পরিকল্পনার কঠোর বাস্তবায়ন।”

তিনি জানান, সিটি করপোরেশনগুলো ইতোমধ্যে সবুজায়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, তবে এই উদ্যোগ আরও ব্যাপক করতে হবে। পাশাপাশি তিনি জলবায়ু সহনশীলতার সঙ্গে সুশাসন ও নাগরিক আচরণ পরিবর্তনের সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেন।

“গঠনমূলক সংস্কারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবর্তনও প্রয়োজন। ছোট ছোট পদক্ষেপ—যেমন অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানো—বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সবুজ নগর মানেই সুস্থ জীবন,” বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশনাল ডিরেক্টর জাঁ পেসমে এবং সাউথ এশিয়া হেলথ নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্র্যাকটিসের প্র্যাকটিস ম্যানেজার ড. ফেং ঝাও।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ইফফাত মাহমুদ এবং সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ওয়ামেক এ. রাজা।