একুশে বইমেলা যথা সময়েই হবে - প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অমর একুশে বইমেলা যথা সময়েই হবে। বইমেলা হবে না বলে যা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। বইমেলা অবশ্যই হবে। পরিস্থিতির কারনে সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে। আমার মনে হয় না এটা বিশেষ কোনো বিষয়। বাংলা একাডেমি প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিবে। যা সবার জন্যই গ্রহণযোগ্য হবে। আমি মনে করি হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
আজ রবিবার ২৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশক সমিতির সভাপতি সাঈদ বারী’র সভাপতিত্বে কেমন বই মেলা চাই বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান, প্রবীণ সাংবাদিক গাজীউল হাসান খান, লেখক গবেষক ফয়েজ আলম, সাংবাদিক লেখক সিরাজুল ইসলাম কাদির, সিনিয়র প্রকাশক গফুর হোসেন, কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল, বেগম বদরুন্নেসা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ফাতেমা আখতার, এআইইউবি’র শিক্ষার্থী দাহেকা আঞ্জুম সাদিয়া ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান।
প্রেস সচিব বলেন আর কেমন বইমেলা চাই যদি বলতে হয়, বলতে হবে আমরা এমন একটি বইমেলা চাই যেখানে সকল শ্রেণীর পাঠকের পছন্দের বই পাওয়া যাবে। আবার সকল লেখকের বইও পাওয়া যাবে। পাঠক তার ইচ্ছে মতো প্রয়োজনীয় বইটি নেবেন। তাকে চাপিয়ে দেয়া যাবে না। পাঠক যদি তার পছন্দের বইটি বইমেলা থেকে নিতে পারেন তবেই সেই বইটি তার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে।
বিগত সরকারের সময়ে বিশেষ শ্রেণীর দালাল প্রকাশক ও দালাল লেখকদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ পরিবারের নামে বই প্রকাশ, জোর করে বিক্রি করে অনেকেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়ায় পুকুর পাড়ে বসে তিনি কি করেছেন সেটা দিয়েই বই লিখে মানুষকে কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। এগুলো জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেনি। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারাই আজ বলছেন আমাদের প্রজন্ম এই
পড়ছে না। নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, এইভাবে বই লিখে ও বিক্রি করে এক সাংবাদিক ১১ কোটি টাকার বই বিক্রি করেছেন। কিছু কিছু প্রকাশনাও এমন করেছে।
গত ১৫ বছর এমনটা হয়েছে আমাদের বই নিয়ে, বইমেলা নিয়ে। তাই আমরা এমন একটা বইমেলা চাই যেখানে যার যা পাঠের প্রয়োজন ঠিক সেই রকম বই সংগ্রহ করুক। কেউ ইতিহাস পড়বেন, কেউ পড়বেন বিজ্ঞান, কেউবা রাজনীতি কেউ সাহিত্য, গল্প, কবিতা ইত্যাদি সবকিছু নিয়েই কিন্তু প্রাণের বইমেলা।
প্রাণের খোরাক থাকে বলেই বইমেলা প্রাণের মেলা। একই ভাবে কোনো প্রকার বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না। আমর চাই এমন একটা মেলা যা হবে বৈষম্যবিরোধী। বই প্রকাশ, বই বিক্রি এমনকি বই পড়ার-স্বাধীনতাটা যেন সকলের থাকে।





