আলোচনায় বসতে মির্জা ফখরুলকে ফোন করলেন ডা. তাহের
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থানে থাকা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবার আলোচনার পথে এগোচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ফোন করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
বিএনপি সূত্র জানায়, এদিন রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয় এবং যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ওপর জোর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: তরুণরা প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবে, নাহিদের হুঁশিয়ারি
স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নতুন করে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন বা সংকট সৃষ্টি করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া উচিত নয়।
বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ আলোচনার পর বৈঠকে কয়েকটি বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট: মির্জা ফখরুল
বৈঠক শেষে মধ্যরাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
“জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিস্তারিত আলোচনার পর নোট অব ডিসেন্টসহ যেসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য হয়েছে এবং ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হয়েছে, আমরা তার অংশীদার হিসেবে সনদে বর্ণিত সব বিষয় ধারণ করি এবং সংবিধান ও প্রচলিত আইনের আলোকে তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শহীদদের ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে— ঐকমত্য বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং কেউ নতুন প্রশ্ন তুলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দেবে না।”
এর আগে ডা. তাহের যুগান্তরকে জানান, “কয়েক দিন আগে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলাম। উপদেষ্টা পরিষদ তা গ্রহণ করেছে। বিএনপির মহাসচিবকে ফোন করে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছি, তিনি আগ্রহের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “যদি বিএনপি ইতিবাচক সাড়া দেয়, আমরা সরাসরি বসতে চাই। বর্তমানে নয়-দলীয় জোটের কয়েকজন প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তারাও আলোচনায় আগ্রহী।”
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আলোচনার বিকল্প নেই। সময় গড়ানোর আগেই আলোচনা শুরু করা জরুরি, নইলে নির্বাচনের আগে সময়ই বড় জটিলতা তৈরি করবে।”
উল্লেখ্য, সোমবার জামায়াতের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে একমত হয়ে সরকারকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়নি।





