সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আবহমান কাল থেকে চলে এসেছে: রুমিন ফারহানা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এদেশের আবহমান কাল থেকে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
রোববার শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঐতিহাসিক জেএম সেন হলে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে মাতৃসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
রুমিন ফারহানা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এদেশের আবহমান কাল থেকে চলে এসেছে। এ ধরনের সম্প্রীতি বিশ্বে বিরল। এদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম সব জাতি, বর্ণ ও ধর্মের। কিন্তু একটি গোষ্ঠী সব সময় ধর্মকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, বিভাজনের চেষ্টা করেছে। এ বিভাজন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ চায় না। কারণ একজন হিন্দুর উৎসবে যেমন মুসলিমরা অংশগ্রহণ করে, ঠিক তেমনি একজন মুসলিমের উৎসবেও হিন্দুরা অংশগ্রহণ করে। এদেশে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে বারবার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, রুখে দিয়েছে। তাই ধর্ম ব্যবসায়ীদের জায়গা এদেশে হবে না।
শ্রীকৃষ্ণ মানবপ্রেম শিখিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণের যখন জন্ম হয়েছিল তখন এ সমাজে অন্যায়-অবিচারে পূর্ণ ছিল। সেই অবিচার-অন্যায়কে দূরীভূত করতে কত অসুরকে নিধন করেছেন। শিশুকাল থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেছেন। সত্য ও অসত্যের মধ্যে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে মহাভারতের যুদ্ধে ধর্মের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দ্রৌপদীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নারীদের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন। নারীর প্রতি সম্মান জানানো, তাদের মর্যাদা রক্ষা করা শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম একটি শিক্ষা।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে হলে বিভাজন নয়, ঐক্য প্রয়োজন: আমীর খসরু
শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উৎসবের দ্বিতীয় দিনের ৩য় অধিবেশনে মাতৃসম্মেলন ও মহাধর্মসম্মেলন শ্রীমতি ঊষা আচার্য্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উদ্বোধক ছিলেন কানন বালা দেবী (সন্তোষী মা), প্রধান ধর্মীয় আলোচক অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী।
উপস্থিত থেকে মাতৃ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষিকা মৌসুমি চৌধুরী, বৃষ্টি বৈদ্য, অশ্রু চৌধুরী, সোমা দাশ, অধ্যাপিকা অপর্ণা বিশ্বাস। ধর্মীয় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক রূপন ধর, শিক্ষক উত্তম কুমার চক্রবর্তী, মাস্টার অজিত কুমার শীল, শ্রীমৎ স্বামী দীপানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী ছত্ত্বেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী, রননাথ ব্রহ্মচারী, শ্রীমৎ স্বামী চিন্ময়ানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী কৃষ্ণানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী নির্বাণানন্দ পুরী মহারাজ।