ঢাকায় পৌঁছেছেন তারেক রহমান, বিমানবন্দরে শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজটি ঢাকায় পৌঁছায়।
এর আগে একই ফ্লাইট সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশে পুনরায় রওনা হয় উড়োজাহাজটি।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তায় বিমানবন্দর ত্যাগ করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১৭ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইট বিজি-২০২। দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরা এই যাত্রায় তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত হন। সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খানসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন গণতান্ত্রিক যাত্রার ঐতিহাসিক মুহূর্ত: সালাহউদ্দিন
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় কিছু সময় অবস্থান করবেন তারেক রহমান। এরপর তিনি সড়কপথে কুড়িল হয়ে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে নির্মিত গণসংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন। সেখানে সমবেত জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
গণসংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টার দিকে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মা বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাশে কিছু সময় কাটাবেন। পরে গুলশান এভিনিউয়ের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফেরার কথা রয়েছে।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিমানবন্দর এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সোয়াট টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।





