অতিরিক্ত গরমে যে আমল করবেন

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ন, ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ৮:০৫ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আল্লাহর সৃষ্টির যা কিছু আছে সবই আলাদা আলাদা কোনো কারণ আছে। তারমধ্যে ঋতুগুলোর পালাক্রমে আগমন একটি শিক্ষণীয় বিষয়। ষড়ঋতু মধ্যে আমাদের নবীজি শীত ও গ্রীষ্ম নিয়ে বিভিন্ন হাদিসে নানাভাবে রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

শীত ও গ্রীষ্মের ব্যাপারে নবীজি বলেন, শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা আসে জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে।

আরও পড়ুন: টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু

বর্তমানে গরম পড়ছে অস্বাভাবিক। আবার এর মাঝে অনেক এলাকায় বিদুৎও থাকে না। এর মাঝে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠছে। এ গরমও আল্লাহর আজাবের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়। তাই আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করা জরুরি। তীব্র গরম শুরু হলে, বৃষ্টি না হলে নবীজি দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন বান্দাদের।

 হযরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, বৃষ্টি না হওয়ায়, প্রচণ্ড গরম পড়ায় একদিন নবীজি সা. এর কাছে কিছু লোক  এলেন। তিনি তাদের জন্য এভাবে দোয়া করলেন- 

আরও পড়ুন: ইসলামে ভূমিকম্প ও করণীয়

اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ ‏

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাসক্বিনা গাইছান মুগিছান মারিআন নাফিআন গাইরা দাররিন আঝিলান গাইরা আঝিলিন।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো।’ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়, বৃষ্টি হয়। (আবু দাউদ ১১৬৯, আবদ ইবনু হুসাইদ ১১২৫)।